দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- ১০ মার্চ ব্রিগেডে সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই দিনই বিজেপি পাল্টা সভার ডাক দিল। সেটা আবার সন্দেশখালিতে |বৃহস্পতিবার সেখানে পৌঁছে এই ঘোষণা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে একবার সন্দেশখালিতে গেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আরও একবার সেখানে যাওয়ার জন্য ফের আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। বুধবার সেই অনুমতি মেলায় বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি গেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যদিও তাঁর সন্দেশখালি যাওয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। তবে রাজ্যের আবেদনের দ্রুত শুনানির জন্য রাজ্যের আর্জি খারিজ হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, আগেই ১০ তারিখ সন্দেশখালির ২ নং ব্লকে সভা করতে চেয়ে পুলিশের অনুমতি চেয়েছে বাম নেতৃত্ব। সিপিএম, ডিওয়াইএফআই ছাড়াও শরিক দলগুলিও এই সভায় যোগ দিতে আগ্রহী বলে খবর।বৃহস্পতিবার আদালতের অনুমতি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ও শংকর ঘোষ সন্দেশখালির পথে রওনা হন। জেলিয়াখালি যাওয়ার পথে রামপুরের কাছে পুলিশ আটকায় শুভেন্দুকে। আদালতের নির্দেশমতো তাঁকে নির্দিষ্ট থানায় মুচলেকা দেখাতে বলা হয়।
প্রথমে তা দেখাতে না চাইলে পুলিশ জানায়, সেক্ষেত্রে সন্দেশখালি যাওয়া যাবে না। এর পর হাই কোর্টের নির্দেশমতো মুচলেকা দেখিয়ে হালদারপাড়ায় পৌঁছে যান। তাঁকে স্বাগত জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। মাথায় পাগড়ি, গলায় গামছা নিয়ে শুভেন্দু ও শংকর গ্রামে গ্রামে ঘোরেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি তোলেন, শুধু শাহজাহান নয়, তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গো অর্থাৎ শেখ সিরাজুদ্দিন, জিয়ারুল মোল্লা সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে।এদিকে, জেলিয়াখালিতে পা রেখেই দলের তরফে সন্দেশখালিতে সভার কথা ঘোষণা করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal