দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কুয়ো থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হরিদেবপুর। হরিদেবপুর থানার কৈলাস ঘোষ রোডে একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় উমা দাস (৫২) নামে এক মহিলার দেহ। বাড়িরই কুয়ো থেকে উদ্ধার হয় দেহটি। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশিদের সঙ্গে কথাও হয় তাঁর। এরপরই আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান। অভিযোগ, রাত ৯টা নাগাদ নিজেরই বাড়ির কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় উমার দেহ।
জানা গিয়েছে, হরিদেবপুরের বাসিন্দা উমা দাস। স্বামী, ছেলে ও বউমাকে নিয়ে থাকতেন তিনি। প্রতিবেশী সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে অশান্তি চলছিল তাঁর। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির পিছনের কুয়োয় প্রৌঢ়ার দেহ ভাসতে দেখা যায়। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তাঁদের সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে উত্তেজিত জনতা। দাবি করা হয়, মৃতের স্বামী, ছেলে ও বউমা দীর্ঘদিন ধরেই সম্পত্তির জন্য প্রৌঢ়ার সঙ্গে অশান্তি করছিল। গত কয়েকদিনে অত্যাচারের মাত্রা চরমে উঠেছিল বলে অভিযোগ।স্থানীয়রা দাবি করেন, ঘটনার নেপথ্যে মৃতার পরিবারের সদস্যরাই। তাঁরাই খুন করেছে প্রৌঢ়াকে। তাই দেহ উদ্ধারের আগে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে তাঁদের আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে দেহ উদ্ধার হয়। শনিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয় মৃতার স্বামী, ছেলে ও বউমাকে। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল? তা জানতে তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।