প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-উত্তর কলকাতার সাংসদ তথা তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শুক্রবারই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর আগে কুণাল দলের মুখপাত্র এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ ছেড়ে দেন। শনিবার এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) আবার সেই সুদীপের বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন তিনি। তবে সেই সঙ্গে এ-ও জানালেন, দুপুরে দলের কর্মসূচিতে তিনি থাকবেন। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দলের কাজ করে যাবেন। শনিবার সেই প্রতিজ্ঞা ফের মনে করিয়ে দিয়ে প্রাক-ব্রিগেড প্রচার মিছিলে হাঁটলেন কুণাল। এদিন তাঁরই নেতৃত্বে চলল ব্রিগেড সমাবেশের প্রচার। শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে কুণাল জানান, দুপুরে দলের কর্মসূচিতে তিনি থাকবেন। লেখেন, ‘পায়ে পায়ে উড়িয়ে ধুলো ১০ মার্চ ব্রিগেড চলো। আজ বেলা একটা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে আসন্ন ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারে রাজাবাজার মোড় থেকে শ্রদ্ধানন্দ পার্ক পর্যন্ত তৃণমূল কর্মীদের মিছিল। থাকব।’ বলে রাখা ভালো, আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে ‘জনগর্জন সভা’ করবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবারের মিছিল তারই প্রচারের স্বার্থে আয়োজিত। সেখানেই আইনজীবী তথা কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী, মৃত্যুঞ্জয় পাল-সহ দলীয় সহকর্মীদের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটলেন কুণাল। বুঝিয়ে দিলেন, পদ নয়, দলই সর্বোপরি।
কুণাল আরও একটি পোস্ট করেন নিজের হ্যান্ডলে। সেখানে রাখঢাক না করে সুদীপের নামে সরাসরি তোপ দেগেছেন। সুদীপ ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে থাকাকালীন কে হাসপাতালের বিল মিটিয়েছেন, তা তদন্তসাপেক্ষ বলে মন্তব্য করেছেন কুণাল। আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, সুদীপ কয়লা ‘দুর্নীতি’র সঙ্গে জড়িত। তা যদি প্রমাণিত হয়, তবে তাঁকে গ্রেফতার করার দাবিও তুলেছেন কুণাল। লিখেছেন, ‘‘সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং তাঁর হয়ে ভুবনেশ্বর অ্যাপোলো হাসপাতালের বিল মেটানোর নথি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তিনি যখন বন্দি ছিলেন, তাঁকে বড় অঙ্কের টাকা দেওয়া হয়েছিল, না কি তাঁর হয়ে হাসপাতালের বিল কেউ মিটিয়ে দিয়েছিলেন, তদন্ত করে দেখতে হবে। যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে কয়লা ‘দুর্নীতি’র সঙ্গে ওই টাকার যোগ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে তদন্তের স্বার্থে সুদীপকে গ্রেফতার করা উচিত। যদি কেন্দ্রীয় সংস্থা এটি এড়িয়ে যায়, আমি আদালতের দ্বারস্থ হব।’’