প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-দু’দিন আগে যে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধুয়ে দিচ্ছিলেন কুণাল ঘোষ, সেই কুণালই সোমবার সুদীপের বাড়িতে বসে ফিশফ্রাই চা সহযোগে জমালেন আড্ডা,ছিল নাড়ুও। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির চা-বৈঠক সেরে বেরিয়ে ইঙ্গিত কুণাল ঘোষ বললেন, “পরিবার একটাই। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”তাপস রায় বিদ্রোহ করে দল ছাড়ার সন্ধ্যাতেই সুর নরম কুণালের। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে কুণালকে বলতে শোনা গেল, “আমার মুখে এখনও চা লেগে রয়েছে। কী বলেছি, কোন পরিপ্রেক্ষিতে বলেছি এখন তা নিয়ে বলার কী আছে? মুখোমুখি কথা হল আমাদের।”কুণাল জানান, দলটা এক, পরিবারটাও একই।
সাংগঠনিক জট নিয়েও এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান কুণাল। এদিন সন্ধে সাতটার কিছু পরে সুদীপ-নয়নার এন্টালির বাড়িতে ঢোকেন কুণাল। সেখানে প্রায় দুঘণ্টার ‘আড্ডা’ হয়। সুদীপ, নয়না, কুণাল ছাড়াও বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরও ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। তার পরই মিলল বরফ গলার ইঙ্গিত।বৈঠকের পর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া না মিললেও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন কুণাল। বলেন, “সুদীপদার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে যাতে কোনওরকম ভুল বোঝাবুঝি, কমিউনিকেশন গ্যাপ না থাকে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিবারের মধ্যে মান-অভিমান থাকে, ভুল বোঝাবুঝি থাকে, কিন্তু পরিবার ছেড়ে কেউ যায় না।” তবে সবশেষেও উত্তর কলকাতার প্রার্থী নিয়ে ‘অন্য’সুর রয়েই গেল তাঁর গলায়। বললেন, “১৯৯৮ সালে যে ১০ জন প্রার্থীর নাম মমতাদি বলেছিলেন তার মধ্যে নয়নার নাম ছিল। উত্তর কলকাতার প্রার্থীপদের সবচেয়ে বড় দাবিদার তো ও-ই।”