দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাত পোহালেই নির্ঘণ্ট ঘোষণা লোকসভা ভোটের | তার আগে ফের বিজেপিতেই ফিরলেন অর্জুন সিং। সঙ্গে তমলুকের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও।শুক্রবার দিল্লিতে এই যোগদান পর্ব হয় দুষ্মন্ত গৌতম, অমিত মালব্যের উপস্থিতিতে। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ‘ঘরওয়াপসির’ পর এদিন বলেন, “২০২১ সালে যেভাবে ভোট পরবর্তী অশান্তি বাংলায় হয়েছে, যেভাবে খুন রাহাজানি হয়েছে সেখানে সবথেকে বেশি আমার এলাকায় লোকজন অত্যাচারিত হন। বিজেপি কর্মীদের বাঁচাতে অল্প সময়ের জন্য আমাকে দল থেকে দূরত্ব রাখতে হয়েছিল। খুব কষ্ট করে তাঁদের রক্ষা করতে হয়েছে। তবে বাংলায় তৃণমূলের সরকারের এসব নিয়ে কিছু আসে যায় না। ক্ষমতায় থাকতে পুলিশকে কাজে লাগিয়ে অত্যাচার করতে জানে ওরা। সন্দেশখালি তার প্রমাণ। প্রতি বিধানসভায় এরকম সন্দেশখালি আছে। প্রতিবাদ করতে পারবেন না কেউ। এমন অত্যাচার বিশ্বে কোথাও হয় না।”অর্জুনের দাবি, সন্দেশখালির ঘটনার পর তিনি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বলেন, এভাবে চুপ করে তিনি বসে থাকতে পারছেন না তাই আবারও বিজেপিতে যুক্ত হতে চান। অর্জুন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বাংলাকে বাঁচাতে চান সবরকমভাবে। চেষ্টাও করছেন। তাঁর হাত ধরেই বাংলা উদ্ধার হবে আগামিদিনে।” অর্জুনের মুখে এদিন শোনা যায় সিএএ-র প্রশংসাও।অন্যদিকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “আজ আমার জন্য খুব শুভ দিন। আমি আজ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হলাম।”শুভেন্দু অধিকারীর নামও এদিন শোনা গেল দিব্যেন্দুর মুখে। বলেন, “উনি বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে লড়ে যাচ্ছেন। আমাদের লক্ষ্য নিয়ে অমিত মালব্য বলেছেন। আমরা বাংলা বাঙালি মা দুর্গা, মা কালীর পুজো করি। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে মহিলাদের প্রতি এর নিন্দার কোনও ভাষা নেই। সারা দেশের ইস্যু এখন সন্দেশখালি। বিজেপির কর্মী হিসাবে মাঠে নেমে বিজেপিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য।”