Breaking News

তলিয়ে যাচ্ছে জমি,গঙ্গার ভাঙনে বিপর্যস্ত গুপ্তিপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা,আতঙ্কিত এলাকাবাসী!

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি:-গঙ্গার ভাঙনের আশঙ্কায় আতঙ্কিত গুপ্তিপাড়াবাসী। ইতিমধ্যেই শনিবার গভীর রাতে গঙ্গা বিধ্বংসী রূপ ধারণ করে। বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙ্গনের জেরে গঙ্গাবক্ষে বিলীন হয়ে যায়। আর এই ভাঙনের জেরেই হুগলির বলাগড় বিধানসভার গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট যেকোনো সময় গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০২২- এ বলাগড়ের জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের চর খয়রামারিতে গঙ্গার গ্রাসে তলিয়ে যেতে বসেছিল একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেই সময় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল ৫০ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ। তৎকালীন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নজরে আসে বিষয়টি। খুদে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের কথা ভেবে অভিজিৎ বাবু তখন পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তারই নির্দেশে প্রশাসন দ্রুত ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়কে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়।
বর্তমানে গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাটের জেটি ধ্বংসের অপেক্ষায় দিন গুনছে। গুপ্তিপাড়ার এই ফেরিঘাট থেকেই প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নদীয়ার শান্তিপুর যান। ওপার থেকে নদীয়ার বহু মানুষ কর্মসূত্রে এপারে আসেন। আর সেক্ষেত্রে ফেরি চলাচলের সময় যদি কোন কারনে গঙ্গার ভাঙনের জেরে এই জেটি ভেঙে যায় তবে ভদ্রেশ্বরের মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন বহু মানুষ। মৃত্যু হতে পারে বহু মানুষের। তাই নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গুপ্তিপাড়াবাসীর মনে। গুপ্তিপাড়ার মানুষের দাবি অভিজিৎবাবুর মতই কোনো মানবিক ব্যক্তি যদি তাদের পাশে দাঁড়ান তবে তারা এই বিপদের হাত থেকে উদ্ধার পেতে পারেন। অন্যদিকে গুপ্তিপাড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাগ জানান শনিবার গভীর রাতে হঠাৎই বেশ কিছুক্ষণের ঝড়ে প্রায় ১৮০মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন দেখা দেয়। বর্তমানে ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে জেটির দূরত্ব মাত্র ৫ মিটার। যেকোনো মুহূর্তে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। যেহেতু এই মুহূর্তে ভোটের নির্ঘণ্ট ও ঘোষণা হয়ে গেছে তাই বর্তমানে প্রশাসন ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন। বিশ্বজিৎ বাবু সহ এলাকার মানুষের আবেদন অবিলম্বে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিক।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *