প্রসেনজিৎ ধর :- জমি আন্দোলনের ধাত্রীভূমি সিঙ্গুর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের রাজনৈতিক জীবনের সফর শুরু করলেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তিনি হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী। দুপুরে সিঙ্গুরে পৌঁছন তৃণমূল প্রার্থী। সিঙ্গুরের ডাকাতে কালীর মন্দিরে পুজো দেন। তারপর পদযাত্রা করে যান রতনপুর লোহাপট্টিতে। শনিবার দিনভর নিজের কেন্দ্রে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেন রচনা। শনিবার তিনি সিঙ্গুর দিয়েই তাঁর প্রচার শুরু করলেন। এদিন তিনি সিঙ্গুরের বিখ্যাত ডাকাত কালী মন্দিরে পুজো দেন। সেখানে পুজো দিয়েই তিনি হুগলিতে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার আরম্ভ করে দিলেন।এদিন এই ডাকাত কালী মন্দিরে অভিনেত্রী তথা তারকা প্রার্থীকে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয়রা। ভিড় উপচে পড়ে মন্দির চত্বরে। সেখানে শঙ্খ বাজিয়ে, উলু দিয়ে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরপর মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করে রচনা ১০৮ জবার মালা দিয়ে মায়ের পুজো দেন। এদিন পুজো দিয়ে নিজের হাতে আরতি করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তিনি মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে বেরিয়ে এসে শুরু করলেন প্রচার। কিলোমিটার পায়ে হেটে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতে করতে পায়ে হেঁটে এসে পৌঁছান বড়বাজার সেবা সমিতিতে। সেখানে প্রথমে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন রচনা ব্যানার্জি। তারপর যোগ দেন প্রস্তুতি কর্মী সভায়। এদিন সিঙ্গুর বড়বাজার সেবা সমিতিতে পৌঁছে অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী বলেন, সারা ভারতবর্ষে দিদি নং ওয়ান একজনই। তিনি হলেন বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি হুগলির প্রার্থী হয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছেন। একইসঙ্গে এদিন তিনি সকলকে কথা দেন, তিনি বর্তমানে রাজনীতির ময়দানে এসেছেন , তাই তাঁর একশো শতাংশ সময় মানুষের জন্য বরাদ্ধ থাকবে। তাঁর সংসার, ছেলে, দিদি নং ওয়ান, ব্যবসা অনেক কিছুই রয়েছে। তিনি মনে করেন মেয়েরা দশভুজা। সব কিছু এক সঙ্গেই সামলাতে পারে। সিঙ্গুরের মাটি ঐতিহাসিক মাটি। অনেক আন্দোলনের সাক্ষী। তাই এই সিঙ্গুরের মাটি স্পর্শ করেই প্রচার শুরু করলেন। এদিনের জন সমাগম দেখে, জয় নিয়ে একশো শতাংশ আশাবাদী রচনা ব্যানার্জি।