দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- জোট জট কাটাতে সোমবারেই আইএসএফের সঙ্গে বৈঠকে সিপিএম। জানা গিয়েছে, আট আসন থেকে লড়তে চায় আইএসএফ। কিন্তু সিপিএম কোনও ভাবেই তিনটের বেশি আসন ছাড়তে নারাজ। ফলে কোনও ভাবেই জোট সম্ভব হচ্ছে না। ফলে, এই বিষয়ে আলোচনা করতে সোমবার বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিপিএম রাজ্য কমিটির তরফে সোমবারের এই বৈঠকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। এছাড়াও এই আলোচনায় সিপিআই এবং সিপিএমের আসন সমঝোতা নিয়েও আলোচনা হবে। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে আট আসন থেকে লড়তে চায় আইএসএফ, কিন্তু সিপিএম তাদের তিনটির বেশি আসনে লড়তে দিতে রাজি নয়।আইএসএফ নেতৃত্ব বলছে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেও, তা প্রত্যাহারের সুযোগ থাকে। ফলে আলোচনা করতে তো অসুবিধা নেই। তবে সব বিকিয়ে দিয়ে সমঝোতা করা হবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে নওশাদরা। সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য জট কাটার ক্ষেত্রে আশাবাদী। উল্লেখ্য, ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন খোদ আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বামেরা এখনও ওই আসনে প্রার্থী দেয়নি। ফলে ওই আসন নিয়ে আলোচনা জারি আছে বলে মনে করা হচ্ছে।এদিকে, সিপিএমের প্রস্তাব নিয়ে সোমবারই আলোচনায় বসছে বাম শরিক দল সিপিআই। কারণ, সিপিএম চায় ঘাটাল কেন্দ্র ছেড়ে দেওয়া হোক তাদের। এই ঘাটাল সিপিআই-এর দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের আসন। সে ক্ষেত্রে দলের কী ভূমিকা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।একইসঙ্গে এবার বসিরহাট আসনেও লড়তে চেয়েছে সিপিএম। ওই আসনটিতেও বামফ্রন্ট তৈরির পরে থেকেই সিপিআই প্রার্থী দিয়ে থাকে। সেই আসন সিপিএম-কে ছেড়ে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে।আসনের অঙ্ক মেলানোর এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের মন্তব্য, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব শক্তিকে আমরা সেলাই করে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। সেলাই করতে একটু সময় তো লাগেই। দর্জির দোকানে জামা দিলে যেমন বলে পুজো বা ইদের আগে পেয়ে যাবে, তেমনই আমরা বলছি ভোটের আগে হয়ে যাবে!’’