দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-লোকসভা ভোটের আগে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ। কমিশনের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি। জানা গিয়েছে, ফিরহাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, রবিবার মধ্যরাতে গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। মারা যান ৯ জন। আহতও হন বহু। যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটে তা, মেয়রের খাস তালুক বলেই পরিচিত। ঘটনার পরে সোমবারই গার্ডেনরিচকাণ্ডে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম । বিজেপির অভিযোগ, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন মেয়র।এরপরই বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এ রাজ্যের সিইওকে চিঠি লেখেন। শিশির লেখেন, ‘‘কলকাতা বন্দর এলাকার বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম আদর্শ আচরণ বিধি অমান্য করেছেন। কলকাতা পুরনিগমের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ড মেটিয়াবুরুজে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট বা আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার ৪৮ ঘন্টাও অতিবাহিত না হতেই, ১৮৫এসি কলকাতা বন্দরের টিএমসি বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী এবং কেএমসির মেয়র ফিরহাদ হাকিম আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।’’ বিজেপি ওই চিঠিতে আরও জানিয়েছে, মেটিয়াবুরুজের কেএমসি ১৩৪ ওয়ার্ডে একটি বেআইনি ভবন ধসে পড়ে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ফিরহাদ হাকিম দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। এতে বিজেপির কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু রাজ্য সরকারের যেকোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করতেই পারতেন। কিন্তু টিএমসির একজন রাজনৈতিক নেতা যিনি স্থানীয় বিধায়কও, তিনি কীভাবে এই ঘোষণা করছেন? এমন প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির।কমিশনের ব্যাখ্যা, নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু হয়ে যাওয়ার পর কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করতে পারেন না। অর্থাৎ কোনও জনপ্রতিনিধি ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করতে পারেন না। তবে প্রয়োজন পড়লে মুখ্যসচিব বা কোনও অফিসার ঘোষণা করতে পারেন।