প্রসেনজিৎ ধর:-বৃহস্পতিবার বহরমপুরে প্রথমবার প্রচারে নামেন ইউসুফ পাঠান। শান্তস্বরে এই তারকা ক্রিকেটার বুঝিয়ে দিলেন, তিনি বহরমপুরে ‘থাকতে এসেছেন’। এদিন অধীর চৌধুরীকে খোলা চ্যালেঞ্জ দিতে শোনা গেল ইউসুফ পাঠানকে। তিনি বলেন, ‘খেলা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে মানুষের কাছাকাছি আসার সুযোগ দিয়েছেন। ভালো কিছুর জন্য বদলের প্রয়োজন রয়েছে।’ বহরমপুরের মাটিতে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দিলেন ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা জোড়া বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ইউসুফ পাঠান। বৃহস্পতিবারই তিনি প্রথমবার পা রাখেন বহরমপুরে। সেখানে তাঁকে বরণ করে নেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। যে হুমায়ুন একদা ইউসুফের প্রার্থীপদের বিরোধিতা করে নির্দল হিসাবে লড়ার হুমকি দিয়েছিলেন। ‘বদলে’ যাওয়া হুমায়ুনের দাবি, পাঠানকে জেতানোর দায়িত্ব তাঁর। পাশাপাশি, হুঁশিয়ারি অধীর চৌধুরীকে।নাম ঘোষণার পর থেকেই পাঠানকে বহিরাগত বলে আক্রমণ শুরু করেছিল বিরোধীরা। বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ অধীর ছিলেন সেই সম্মিলিত আক্রমণের পুরোভাগে। এত দিন এ নিয়ে কোনও কথাই বলেননি পাঠান। বহরমপুরের সেই প্রশ্নের জবাব দিয়ে পাঠান বললেন, ‘‘আমাকে বহিরাগত বলা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদীও তো গুজরাতের বাসিন্দা হয়ে বারাণসী থেকে ভোটে লড়েন। কিন্তু ওঁকে কি বহিরাগত বলা হয়? আমিও গুজরাত থেকে বাংলায় এসেছি ভোটে লড়তে, তা হলে আমি কেন বহিরাগত হতে যাব! আমি বাংলারই ছেলে। এখানে থাকতেই এসেছি।’’ এ কথা শুনে চেয়ার থেকে প্রায় লাফিয়ে উঠে হাততালি দিলেন দু’দিন আগে ইউসুফের প্রার্থিপদের ঘোর বিরোধিতা করা বিধায়ক হুমায়ুন। ভোটে জিতলে দলনেত্রী মমতাকে কী উপহার দেবেন? হাসতে হাসতে ইউসুফের জবাব, ‘‘আমি কী উপহার দেব? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তো বলেছেন, আমি ভোটে জিততে পারলে উনি আমাকে কলকাতার যত বিখ্যাত মিষ্টি আছে, সব খাওয়াবেন। আমি তারই অপেক্ষায় আছি।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal