দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন তিনি। এরপর তাঁকেই খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়ক বলে দাবি করে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসান বিধানসভার স্পিকার। সেই কৃষ্ণ কল্যাণীই এবার রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী। মুখ লুকানোর আর কোনও জায়গা না পেয়ে অবশেষে তাঁকে PAC চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করাল তৃণমূল। বুধবার বিধানসভায় গিয়ে স্পিকারকে ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। এর ফলে ফের ফাঁকা হল PACর চেয়ারম্যান পদ।বুধবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক।তৃণমূলের দিকে ঘেঁষার পর থেকেই বিজেপি শিবির থেকে বার বার কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিশানা করা হয়েছে। কেন কৃষ্ণ কল্যাণী বিধায়ক পদ আগলে রেখে দিয়েছেন, কেন তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হচ্ছে না, তা নিয়ে অতীতে বিভিন্ন সময়ে জোরদার সওয়াল করেছে বিজেপির পরিষদীয় দল। কিন্তু এতদিন বিধায়ক হিসেবেই থেকে গিয়েছিলেন তিনি। এখন আচমকা কেন বিধায়ক পদে ইস্তফা? কৃষ্ণ কল্যাণীর অবশ্য ব্যাখ্যা, নৈতিকতার কারণেই তিনি পদত্যাগ করলেন। বললেন, ‘আমি তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে ভোটে লড়তে চাই, তাই ইস্তফা দিলাম। নিয়মের কথা বলতে গেলে তো, কেস চলছে। কেস চলত। এটা আমি নৈতিক দায়িত্ব মনে করেছি, সেই জন্য ইস্তফা দিয়েছি।’বুধবার ইস্তফাপত্র খতিয়ে দেখার পর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি কৃষ্ণ কল্যাণীর ইস্তফা গ্রহণ করেছেন এবং রায়গঞ্জ বিধানসভা আসন খালি হিসেবে ঘোষণা করা হবে। স্পিকার বলেন, ‘কৃষ্ণ কল্যাণী ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। জানতে চাওয়ায় তিনি বলেছেন, কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেননি। কেউ তাঁকে ভয়-ভীতিও প্রদর্শন করেননি ইস্তফা দেওয়ার জন্য। আমি এই ইস্তফা গ্রহণ করলাম। আমি সন্তুষ্ট যে তিনি স্বেচ্ছায় এই ইস্তফা দিলেন।’