Breaking News

গার্ডেনরিচের পরে বিরাটি! ফের নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে শহরে মৃত্যু মহিলার,মেয়রের ওয়ার্ডেও ভাঙল বাড়ি

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- কলকাতার গার্ডেনরিচ কাণ্ডের ছায়া বিরাটিতে। গার্ডেনরিচ, পিকনিক গার্ডেনের পর বিরাটি ও চেতলা। বিরাটিতে নির্মীয়মাণ বাড়ির একাংশ আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয় শনিবার রাতে। এর ২৪ ঘণ্টার কাটার আগেই কলকাতায় পুরনো বাড়ির কার্নিশ ভেঙে বিপত্তি। রবিবার কাকভোরে ঘটনাটি ঘটেছে খোদ কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নিজের ওয়ার্ডে। তবে সেখানে কোনও হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি | এয়ারপোর্ট থানার অন্তর্গত বিরাটিতে শরৎ কালোনি বসু রোডের উপর একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির একাংশ আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়। মৃতের নাম কেয়া শর্মা চৌধুরী (৫৮)। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে মহিলা নির্মীয়মাণ আবাসনের পাশে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিলেন। সেই সময় বিল্ডিংটির একাংশ ধসে পড়ে। জখম অবস্থায় তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে।
কেয়া শর্মা চৌধুরীর স্বামী কাজ করতেন এয়ার ইন্ডিয়ায়৷ বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত৷ তাঁর ২৮ বছরের এক ছেলেও রয়েছে৷ ছেলে সৌভিক শর্মা চৌধুরী দাবি, ‘‘অভিযুক্তদের শাস্তি হোক৷ এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে..অনেকবার বলেও লাভ হয়নি৷’’ মৃতার ননদ শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘পাশে আত্মীয়রা জমি প্রোমোটারকে দেয়৷ আগেও এই ধরনের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলাম আমরা৷ ওরা শোনেনি৷’’মৃতার স্বামী বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী ফোনে কথা বলছিল। সেই সময় ইট ভেঙে পড়েছে। আমি আইনি পদক্ষেপ করব। আর যেন কারও এ রকম ক্ষতি না হয়ে যায়।’’ মৃতার স্বামীর দাবি, বেআইনি ভাবে বাড়িটি তৈরি হচ্ছিল। তাঁর প্রশ্ন, ৮-১০ ফুটের রাস্তার পাশে কী ভাবে চার তলা বাড়ি তৈরি হয়? তাঁর কথায়, ‘‘যে ভাবে বাড়িটি তৈরি হচ্ছিল, তাতে আমার বাড়িতেও ধস নেমেছে।’’

এদিকে রবিবার সকাল পাঁচটা নাগাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে চেতলা রোড সংলগ্ন পরমহংস দেব রোডের একটি তিনতলা বাড়ির কার্নিশ। কাকভোরে রাস্তা ফাঁকা থাকায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জানা গিয়েছে, বাড়িটি ৬০ বছরের পুরনো। এদিন সেই বাড়ির তিনতলার বারান্দার কার্নিশ খসে পড়ে। এলাকাবাসীর দাবি, বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে জীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকলেও পুরসভা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *