দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- লোকসভার মুখে মতুয়া গড়ে ভাঙন,নির্বাচনে তিন আসনে প্রার্থী দিচ্ছে মতুয়ারা।বারাসত, বনগাঁ এবং কৃষ্ণনগর এই তিন আসনে স্বাধীনভাবে প্রার্থী দেবে ‘শান্তিহরি মতুয়া ফাউন্ডেশন’| স্বাভাবিকভাবেই মতুয়াদের এই ঘোষণায় চিন্তা বাড়বে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর বড়মার সঙ্গে সখ্যতা তৈরি হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আবার ২০১৯ সালে বদলে যায় সমীকরণ। লোকসভার আগে থেকেই মতুয়াভূমে শক্ত জমি তৈরি করে বিজেপি। সেবার মতুয়া ভোটের আধিক্য থাকা বনগাঁ এবং রানাঘাটে জয়ী হয় বিজেপি।বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে মতুয়াদের সম্পর্কেও নাকি ধরেছে ফাটল।এদিন মতুয়াদের অন্যতম নেতা দেবব্রত রায় বলেন, ‘সিপিএম জমানার শেষ থেকে মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়। তারপর তৃণমূল এবং বিজেপি তা করে চলেছে। কিন্তু আসল যাঁরা ভক্ত, তাঁরা যে তিমিরে ছিলেন, সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছেন। তাই আমরা চেয়েছি আমাদের প্রার্থী জিতুন।’মমতাবালা ঠাকুর এবং শান্তনু ঠাকুরের দ্বন্দ্ব নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। ঠাকুর পরিবারের এই সংঘাত মতুয়া ভোটের ওপর প্রভাব ফেলে যথেষ্টই। এখন রাজ্যের তিন আসনে তাঁরা আলাদা প্রার্থী দিলে ভোটের সমীকরণ কী দাঁড়াবে তা নিয়েই জল্পনা। ‘শান্তিহরি মতুয়া ফাউন্ডেশন’ বনগাঁ, কৃষ্ণনগর এবং বারাসতে প্রার্থী দেবে বলে ঠিক করেছে। কৃষ্ণনগরের বদলে বর্ধমান পূর্বে প্রার্থী দেওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু যাকে প্রার্থী হিসেবে ভাবা হয়েছিল, তিনি অসুস্থ, তাই শেষে কৃষ্ণনগরে প্রার্থী দেওয়ার কথা ভেবেছে মতুয়া |