দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- অসুস্থ হয়ে শিশুটি ভর্তি হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে (এনআরএস)। তাকে ইঞ্জেকশন দিতে হবে। সেটা কাজ করতে এগিয়ে এলেন নার্স। আর চমকে উঠলেন ইঞ্জেকশন দিতে গিয়ে। কারণ ওই ইঞ্জেকশনের ভায়ালের মধ্যে ওই নার্স দেখতে পেলেন ছত্রাক | শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এটাই বাস্তবে ঘটেছে। এই ঘটনায় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এনআরএস কর্তৃপক্ষের দাবি, ইঞ্জেকশন সরবরাহকারী সংস্থা এই ঘটনায় দায়ী। তাই তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।সূত্রের খবর, জন্মের পর থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় এক সদ্যোজাতকে এন আর এসের ‘স্পেশ্যাল নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট’(এসএনসিইউ)-এ রাখা হয়েছিল। তাকে ‘সিলডেনাফিল সাইট্রেট’ ইনজেকশন দেওয়ার জন্য প্রেসক্রিপশনে লেখেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। সেই মতো হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর থেকে ওয়ার্ডে আনা হয় ওই ওষুধের ভায়াল। কিন্তু সেটি দিতে গিয়েই ছত্রাকের উপস্থিতি চোখে পড়ে কর্তব্যরত নার্সের। তৎক্ষণাৎ তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। এরপরেই ওই ভায়াল পাল্টানো হয়|চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এর ফলে বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে।জানা গিয়েছে, ওই ভায়ালের গায়ের লেবেলে যে তারিখ ছিল তাতে উল্লেখ করা রয়েছে, ২০২৩-এর জুন মাসে তৈরি এবং ২০২৫-এর মে মাসে মেয়াদ উত্তীর্ণ। তার পরেও কীভাবে ওই ভায়ালের মধ্যে ছত্রাক জন্মাল তা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে। এন আর এসের সুপার ইন্দিরা দে বলেন, “মাঝেমধ্যে কোনও কোনও ওষুধে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে, বিষয়টি নজরে আসতেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একটি ভায়ালের মধ্যে ছত্রাক মিললেও, ওই ব্যাচের সমস্ত ইঞ্জেকশন বাতিল করা হয়েছে। সরবরাহকারী সংস্থার কাছে রিপোর্টও তলব করা হয়েছে।”