দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- শাহজাহান শেখ দাবি করেন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হেফাজতে তাঁকে দিয়ে জোর করে বয়ান লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর সেই বয়ান প্রত্যাহারের আবেদনের সোমবার বিরোধিতা করেছে ইডি। বিচারক প্রশ্ন তুলেছেন, ওই আবেদনের বক্তব্য ভুল না ঠিক, তা কী ভাবে বোঝা যাবে? বিচারের সময় এই আবেদনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক। শাহজাহানের তরফে জামিনের আবেদন করা হয়নি। তাঁকে ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফজাতে পাঠিয়েছেন বিচারক।শনিবার শাহজাহানকে আদালতে পেশ করেছিল ইডি | আদালতে শাহজাহানের আইনজীবী একটি কাগজ দেখিয়ে বলেন, এই কাগজে শাহজাহান অভিযোগ করেছে, তার কাছ থেকে জোর করে বয়ান লিখিয়েছে ইডি। তিনি দাবি করেন, ইডির মনপসন্দ বয়ান না দিলে শাহজাহান ও তার পরিবারকে নারী ও মাদক পাচারের মামলায় ফাঁসানো হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাই ওই বয়ান প্রত্যাহার করতে চায় শাহজাহান। আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার বিষয়টি নিয়ে সব পক্ষ আদালতে বলার সুযোগ পাবে বলে জানান বিচারক। সোমবারের শুনানিতে বিষয়টি উত্থাপিত হলে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘মামলার এই পর্যায়ে এই আবেদনের প্রাসঙ্গিকতা কী? আবেদনকারী যে সত্যি বলছেন তা কী ভাবে প্রমাণ করা যাবে?’ এরপর আবেদনটি খারিজের দাবি জানান ইডির আইনজীবী। তবে আবেদনটি খারিজ না করে বিচারক বলেন, বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে এই আবেদনটি পুনর্বিবেচনা করা হবে।এদিন শাহজাহানের আইনজীবী জামিনের কোনও আবেদন করেননি। ফলে শাহজাহানকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক। এদিনের শুনানিতে আদালতে ইডি জানায়, জেরায় শাহজাহান বলেছে, সন্দেশখালি তো বটেই। উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী ঠিক করত সে। পালটা শাহজাহানের আইনজীবী বলেন, এই তথ্যের ভিত্তিতে কারও বিরুদ্ধে অর্থ তছরূপের মামলা হতে পারে না। তাছাড়া শাহজাহানের দলে রাজ্য কমিটি, জেলা কমিটি রয়েছে। একজনের পক্ষে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।