দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কন্য়াসন্তানের জন্ম দেওয়ার ‘অপরাধে’ স্ত্রীকে বাড়ি থেকে ‘তাড়িয়ে’ দিলেন স্বামী, এমনই অমানবিক অভিযোগ উঠেছে গড়িয়া এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। অবিচারের বিরুদ্ধে ২১ দিনের সন্তানকে নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করে শনিবার বারুইপুর আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত যুবক। গড়িয়া এলাকার বাসিন্দা নবকুমার মণ্ডল। একবছর আগে বিয়ে হয় হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা তনুশ্রী হালদারের সঙ্গে। সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে দু’জনের পরিচয় হয়। বেশ কিছুদিন প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর বিষয়টি বাড়িতে জানাজানি হয়। তারপর পরিবার থেকেই তাঁদের দু’জনের বিয়ে দেওয়া হয়।অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালাত অভিযুক্ত ও তাঁর বাবা ও মা। ২ লক্ষ টাকা পণও নেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলে অভিযোগ। বিষয়টি দুই পরিবার ও প্রতিবেশীদের নিয়ে কয়েকবার মীমাংসাও করা হয়। কিন্তু কন্যা সন্তান হওয়ার পর তনুশ্রীকে আর বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি অভিযোগ।তনুশ্রীদেবী জানান, অত্যাচারে বেড়ে যাওয়ায় মাত্র ২১ দিনের কন্যাসন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছাড়েন তিনি। শেষমেশ একমাসের সন্তানকে নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযুক্তের দাবি তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।অভিযুক্ত স্বামী নবকুমার মণ্ডল বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ করেছে আমার সঙ্গে। ওর সঙ্গে মা-বাবা সকলে জড়িত রয়েছে। সন্তান হওয়ার আগে সাত লক্ষ টাকা চেয়েছিল। আমি দিতে পারিনি। ওর মতো মেয়ে সংসার করার যোগ্য নয়। আমি কোনও পণ নিইনি। সব মিথ্যা অভিযোগ।”