নিজস্ব সংবাদদাতা ,কলকাতা :- আদালতে বিস্ফোরক ইডি। শুধু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই নয়, শেখ শাহজাহানের দুর্নীতির টাকা রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রীর কাছে গিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তারা। আদালতে এ বিষয়ে জানিয়েছেও।সোমবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতে তোলা হয় শেখ শাহজাহান, আলমগীর, দিদার বক্স, শিবু হাজরা-সহ সন্দেশখালি কাণ্ডে অভিযুক্তদের। আদালতে সওয়াল জবাব চলাকালীন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ইডির আইনজীবী। জানান, সন্দেশখালি কাণ্ডে জমি দখলের টাকার ভাগ পেয়েছেন রাজ্যের ২-৩ জন মন্ত্রী। ওই টাকাই ঘুরপথে অস্ত্র কারবারে লাগানো হত বলেই তদন্তের পর মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা।জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন শেখ শাহজাহান। সে কারণে নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল তাঁর। আর সেই প্রভাব কাজে লাগিয়ে শেখ শাহজাহান অনুগামীদের সরকারি টেন্ডার পাইয়ে দিতেন বলেই দাবি ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, পঞ্চায়েত থেকে ফেরি সমস্ত সরকারি টেন্ডার ঘুরপথে শাহজাহানের অনুগামীরাই পেতেন। তাতেই তাঁরা আর্থিকভাবে লাভবান হতেন। ২০১৬-২০২৩ পর্যন্ত পর্যন্ত মূলত ৫ বছর ধরে টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলেই মনে করছে ইডি। সন্দেশখালি কাণ্ডে সাক্ষীদের জেরা করে এমনই বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলেই দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।ইডির আইনজীবী অভিযোগ করেন, ইডির নজরে রাজ্যের আরও ২-৩ জন মন্ত্রী রয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, সন্দেশখালিতে জমি দখল করে যে দুর্নীতি করা হয়েছে তার টাকা প্রভাবশালীদের হাতেও গিয়েছে। আর সে কারণেই ইডি শাহজাহানের জামিনের বিরোধিতা করেছে।কিছুদিন আগেই সন্দেশখালি থেকে যে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে, এদিন ইডির আইনজীবী আদালতে সে বিষয়েও বলেন। তিনি বলেন, তদন্তে আগেই তাঁরা জানতে পারেন, অস্ত্র ব্যবসাতেও টাকা খাটানো হয়েছে। এবার সন্দেশখালির গ্রাম থেকে অস্ত্র উদ্ধার বিষয়টি আরও জোরাল করল। ১৩ মে অবধি জেল হেফাজতে শেখ শাহজাহান, আলমগির, শিবু হাজরা ও দিদার বক্স মোল্লার।