প্রসেনজিৎ ধর :- রবিবার দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এনআইটি) হস্টেলে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া অর্পণ ঘোষের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। চিকিৎসক ও ডিরেক্টরের চরম গাফিলতিতেই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে ডিরেক্টরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ হয় পড়ুয়াদের।পড়ুয়াদের চাপে ও শারীরিক নিগ্রহের ভয়ে তাদেরই লেখা ইস্তফাপত্রে সাক্ষর করতে বাধ্য হলেন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এনআইটির ডাইরেক্টর অরবিন্দ চৌবে। ইস্তফার পর একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন উন্মত্ত পড়ুয়া ও পুলিশের উপর। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক দ্বারা পরিচালিত দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি। প্রায় চার হাজার ছাত্রছাত্রী এনআইটিতে পড়াশোনা করেন। ১৪টি ডিপার্টমেন্ট রয়েছে এখানে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অর্পণ ঘোষ (২০)। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অর্পণ ঘোষের বাড়ি হুগলির ব্যান্ডেলে। তাঁরই অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় রবিবার। অভিযোগ, পরীক্ষাহলে নিজের আইডি কার্ড নিয়ে যেতে ভুলে যান অর্পণ। তাই তাঁকে পরীক্ষায় বসতেই দেওয়া হয়নি। এরপরই ঘরে ফিরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। কলেজের পড়ুয়াদের দাবি, অর্পণকে যখন তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়, তখনও তাঁর হৃদযন্ত্র সচল ছিল। অ্যাম্বুল্যান্স আনা হলেও তারা বলে রিপোর্ট লেখাতে হবে, আইডি কার্ড দেখাতে হবে। ছাত্রদের অভিযোগ, অর্পণকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করার পর অনেকক্ষণ বেঁচে ছিলেন। কিন্তু এনআইটির নিজস্ব হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র না থাকা এবং দীর্ঘ ২০ মিনিট অর্পণকে ফেলে রাখার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়।চিকিৎসক ও ডিরেক্টরের চরম গাফিলতিতেই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে ডিরেক্টরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ হয় পড়ুয়াদের।পড়ুয়ারা সংস্থার ডিরেক্টর অরবিন্দ চৌবেকে গলা ধাক্কা দিয়ে এনআইটির গেট দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেয় বলে অভিযোগ | চরম হেনস্তা করা হয় তাঁকে। রাত প্রায় ১০ টা পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি চলে। কিন্তু পুলিশকে ডাকলেও তারা আসেনি বলে অভিযোগ ডিরেক্টর অরবিন্দ চৌবের | পড়ুয়ারাই সাদা কাগজে ডিরেক্টরের ইস্তফা পত্র লিখে এনে জোর করিয়ে তাতে সই করায় বলে অভিযোগ করেছেন অরবিন্দবাবু। তিনি জানান, “রবিবার রাতে পড়ুয়ারা জোর জবরদস্তি করে তাদের লিখে আনা ইস্তফাপত্রে সই করায়। না করলে মারধর করবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। আমার রুমের দরজা ভেঙে এনআইটির সিল নিয়ে এসে ইস্তফা পত্রে জোর করিয়ে সিল মারায় আমাকে দিয়েই।”