প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- দলে আরও কোণঠাসা কুণাল ঘোষ? পদ থেকে অপসারণের পর এবার তৃণমূলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ গেল কুণাল ঘোষের নাম। ৪০ জন তারকা প্রচারকের নাম সামনে এসেছে। সেখানে নেই কুণাল ঘোষের নাম। তাতে দলের শীর্ষস্তরের নেতাদের নাম যেমন রয়েছে তেমনই আবার দেব, সায়ন্তিকা, সোহম থেকে অদিতি মুন্সির মতো তারকারাও রয়েছেন সেই তালিকায়। তবে তাতে একমাত্র বাদ গিয়েছে কুণাল ঘোষের নাম। অথচ এর আগে তারকা প্রচারকের তালিকায় ছিলেন তিনি। যদিও তা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ কুণাল। বলেন, “শুভেন্দুকে চোর বলতে যাঁদের পাঁচবার ভাবতে হয় তাঁরা তারকা হলে ভালো। আমার কোন আফশোস নেই। ভালোই হয়েছে গরমে ঘোরাঘুরি থেকে বেঁচে গিয়েছি।” পদ, তারকা তকমা হারানোর পরেও এদিন কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন উত্তর কলকাতার অনুগামীরা। পদ হারানোর পরেও অনুগামীদের পাশে পেয়ে আবেগতাড়িত কুণাল। কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন। চোখের জল মুছতে মুছতে বলেন, সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কুণাল বলেন, ‘‘আমি তৃণমূলের সৈনিক। ১৯৯৩ সাল থেকে দলের পাশে রয়েছি। যিনি বা যাঁরা আজ সাধারণ কর্মীদের আবেগকে সম্মান না করে জমিদারি চালাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলব। আমি কর্মীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি বরাবর। কোনও ঘরে বসে থাকা নেতারা যদি কর্মীদের সঙ্গে অসভ্যতা করে তা হলে এগিয়ে যাব। হোয়াট্সঅ্যাপে চামচাবাজি করে দল চালানো যাবে না। তৃণমূল একটা পরিবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেনাপতি। তাঁদের নেতৃত্বে দল চলছে। সাধারণ কর্মীদের আবেগকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাঁদের অপমান করা যাবে না। আমি কর্মীদের পাশে আছি। আশা করি মমতাদি এবং অভিষেক বিষয়টি অনুধাবন করবেন। সামনে ভোট। ৪২-এ ৪২ টার্গেট করে এগোচ্ছি আমরা।’’ কুণালের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেনও। বলেন, “দল বিড়ম্বনায় পড়লে আমরা বিরোধীদের আক্রমণ করেছি। দাঁত, নখ বের করে বিরোধীদের আক্রমণ করেছি। দলকে কুণালের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। “