দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-সোমবার নদিয়া জেলায় কৃষ্ণনগরের প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে রোড শো করেন অমিত শাহ। এরপরেই তিনি দুর্গাপুরে দিলীপ ঘোষের সমর্থনে একটি সভা করেন। সেই সভা থেকে বাংলায় দুর্নীতি, কাটমানি নিয়ে রাজ্য সরকারকে একের পর এক আক্রমণ করেন অমিত শাহ। তাঁর বক্তৃতায় উঠে আসে রাম মন্দির থেকে শুরু করে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গ।সোমবার লোকসভা ভোটের জোড়া প্রচারে বঙ্গ সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রথমে তিনি কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে রোড শো করেন। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সন্দেশখালি নিয়ে গোটা দায় চাপিয়েছেন রাজ্য সরকারের উপর। মহুয়াগড়ে দাঁড়িয়ে রানী মা অমৃতা রায়ের জয় নিশ্চিত বলে প্রত্যয়ী বার্তা দেন শাহ। এর পর তিনি চলে যান দুর্গাপুরে। তিলক ময়দানে বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সমর্থনে জনসভা করেন।আর সেই সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অমিত শাহ | তৃণমূল বিরোধিতায় চিরাচরিতভাবেই তুললেন অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ। আর তা নিয়ে CAA-র সমর্থন চাইলেন উপস্থিত জনতার কাছ থেকে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার সুফল কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অন্যতম সাফল্য বলে দাবি করলেন শাহ। সন্দেশখালি নিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘সন্দেশখালিতে ধর্মের ভিত্তিতে মা-বোনেদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় দোষীদের ধরেন না। হাইকোর্ট সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে।’ দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘শাহজাহানকে জেলে দেওয়া উচিত কি উচিত না। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর নাকের নীচে মহিলাদের নির্যাতন করা হয়েছে।’ এই ঘটনায় জড়িতদের পাতাল থেকে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।