প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সোমবার সন্ধ্যায় নেমেছিল স্বস্তির বৃষ্টি। এক টানা গরম,তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পায় রাজ্যবাসী। এদিন সন্ধ্যার পর থেকে জেলায় জেলায় শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। একাধিক এলাকায় কালবৈশাখীর প্রবল তাণ্ডব, বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়। রাজ্য জুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। সেই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।দিলেন সব রকম সাহায্যের আশ্বাস।মঙ্গলবার সকালে মৃতদের পরিবারের উদ্দেশে শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘গতরাতে ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের জেরে ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনায় আমি দুঃখিত। বজ্রপাতের জেরে পূর্ব বর্ধমানে ৫ জন মারা গিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ায় বজ্রপাত প্রাণ কাড়ে ২ জনের। নদিয়ায় দেওয়াল ভেঙে মৃত্যু হয় ২ জনের। পাশাপাশি গাছ ভেঙে পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয় একজনের। আমাদের জেলা প্রশাসন সব জায়গায় সারা রাত ধরে দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করেছেন। গাইড লাইন মেনে প্রশাসনের তরফে ত্রাণ ও সমস্ত রকম সাহায্যের ব্যবস্থা করা হবে।’ পাশাপাশি তিনি লেখেন, ‘দুর্যোগের জেরে যে ১২ টি পরিবার তাঁদের পরিজনকে হারিয়েছেন, সেই স্বজনহারা পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’একইসঙ্গে তিনি জানান, জেলা প্রশাসন সব জায়গায় সারা রাত ধরে দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করেছে। মঙ্গলবারও জেলায় জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে জেলায় জেলায়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ ১১ জেলায় কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। তালিকায় রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হুগলি, এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। ৫০-৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।সোমবার রাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিতে নানা জায়গায় জল জমেছে, কোথাও গাছ উপড়ে পড়েছে। ওভারহেড তার ছিঁড়ে আপ ও ডাউন লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল দীর্ঘক্ষণ।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal