প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি :-একযোগে আয়কর হানা একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল থেকেই হুগলির সপ্তগ্রাম বিধানসভার বাঁশবেড়িয়া মগরা এলাকার একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর দফতরের প্রতিনিধিরা তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। নির্বাচনের আগে এই নিয়ে চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।আগামী ২০ মে হুগলিতে লোকসভা ভোট। তার আগে শুক্রবার সকালে আচমকা হুগলির মগরায় আয়কর হানা। আয়কর দফতরের অভিযান চলছে হুগলির বাঁশবেড়িয়া এলাকাতেও। এই দুই এলাকার একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে শুরু হয়েছে আয়কর দফতরের তল্লাশি অভিযান। সূত্রের খবর, যে সব ব্যবসায়ীর বাড়িতে ও অফিসে এদিন আয়কর হানা হয়েছে, তাঁরা সকলেই তৃণমূলের ‘ঘনিষ্ঠ’। এদিন সাত সকালের সিআরপিএফ-এর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে মগরা ও বাঁশবেড়িয়া এলাকায় ওই ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে হানা দেয় আয়কর দফতর।এদিনের আয়কর হানা প্রসঙ্গে হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্য়ায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সিন্ডিকেট, তোলাবাজি, কাটমানিতে ছেয়ে গিয়েছে। যারা এসবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে, তাদের ছাড়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলে দিয়েছেন, না খাওঙ্গা না খানা দুঙ্গা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করছেন। আমরাও তাঁর সৈনিক হিসেবে লড়াই করছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবেই।’ লকেটের আরও সংযোজন, ‘দুর্নীতি, মাফিয়াবাজি, গুন্ডাগিরি চলছে। এর সমাপ্তি চাই আমরা।’হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন , “ব্যবসা করা কি অপরাধ নাকি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হওয়া অপরাধ? লকেট চট্টোপাধ্যায় আগে থেকেই বলে রাখছেন যে কোথায় ইডি যাবে কোথায় সিবিআই যাবে কোথায় ইনকাম ট্যাক্স যাবে। তার মানে এজেন্সিগুলো বিজেপি হয়ে গিয়েছে। আর যদি ব্যবসায়ীদের কথা বলে তাহলে ইলেক্টোরাল বন্ডটা কী? বিজেপি কত টাকা নিয়েছে?”সব মিলিয়ে শুক্রবার সকালে ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর হানাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।