প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ফের নির্বাচনী প্রচারে এসে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের দুর্নীতি বোঝাতে টেনে আনলেন প্রখ্যাত পরিচালক প্রয়াত সত্যজিৎ রায়ের প্রসঙ্গ। শ্রীরামপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী কবির শঙ্কর বোসের সমর্থনে মোশাট বাজারে বিজয় সংকল্প সভা থেকে শাহর কটাক্ষ, সত্যজিৎ রায় বেঁচে থাকলে ‘হীরক রানির দেশে’ সিনেমা বানাতেন।শ্রীরামপুরের বিজেপি প্রার্থী কবীর শংকর বোসের সমর্থনে বুধবার মশাটে জনসভা করেন অমিত শাহ। সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর উদ্দেশে তাঁর খোঁচা, ”আমাদের সত্যজিৎ রায়, খুব বিখ্যাত শিল্পী ছিলেন। তাঁর ছবি ‘হীরক রাজার দেশে’ খুব প্রসিদ্ধ। মমতার আমলে তিনি বেঁচে নেই। সত্যজিৎদা বেঁচে থাকলে ‘হীরক রানির দেশে’ নামে সিনেমা বানাতেন।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি চর্চা শুরু করেছেন সংস্কৃতিমনস্ক মানুষজনও। অনেকেরই প্রশ্ন, সত্যজিৎ রায়কে কতটা চেনেন অমিত শাহ? যে সিনেমার কথা উল্লেখ করছেন, তা কি দেখেছেন?এই প্রসঙ্গেই শাহ টেনে এনেছেন রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ-সহ একাধিক দুর্নীতির প্রসঙ্গ। মঙ্গলবার বনগাঁর সভা থেকেও এ ব্যাপারে সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন শ্রীরামপুরের সভা থেকেও বারে বারে দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে এনে শাহ বলেন, “মোদীর নীতি হল দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া।দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলে যেতেই হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। কেউ বাঁচবে না।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতিগ্রস্তদের আড়াল করছেন বলে অভিযোগ করে শাহ বলেন, “কাউকে লুকোতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আঁচলে লুকিয়ে নিলেও দুর্নীগ্রস্তদের জেলে ঢোকাবই।”অমিত শাহর এই মন্তব্যের পরই পালটা আক্রমণে নেমেছে শাসকদল তৃণমূল। দলের মুখপাত্র তথা যুব নেতা সুদীপ রাহার প্রতিক্রিয়া, ”আসল হীরক রাজা তো নরেন্দ্র মোদী | তাঁর জমানায় যা দেশের হাল, তা তো বলার নয়। তাঁর জমানায় পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি, বেকারত্ব বৃদ্ধি, মানুষজনের জীবনযাত্রার মান পড়ে যাওয়া – এসবই তো চলছেই। আর তাঁর পাশে বসে হীরক রাজার আরেক সেনাপতি অমিত শাহ মোদীকে দেখতে পাননি। আর মমতাকে বলছেন হীরক রানি! এটা সত্যের অপলাপ।”