দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে | উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘূর্ণাবর্তের জন্য দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে সোমবার থেকেই। গোটা সপ্তাহ জুড়েই চলতে পারে বৃষ্টিপাত। তার মধ্যে আবার ঝড়বৃষ্টি নিয়ে নতুন পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।মৌসম ভবন জানিয়েছিল, আগামী ২৩ মে-র মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। পরবর্তী সাতদিনে তা আরও বেশি শক্তিশালী হবে। বর্তমানে আবহাওয়া দফতরে বলছে, সাগরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে ঘূর্ণিঝড় আসছে, এমন বলাই যায়। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে শক্তিশালী হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। যার প্রভাবে আগামী তিন দিন বঙ্গোপসাগর থেকে হু হু করে জলীয় বাষ্প ঢুকবে।আলিপুরের হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২২ মে নিম্নচাপ বলয় তৈরি হতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। পরে সেটি উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। আরও শক্তি বৃদ্ধি করে সেই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতিও সাগরে তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বেশ কিছু ঢেউয়ের দিকে নজর রাখছে হাওয়া অফিস। এছাড়াও সমুদ্রপৃষ্ঠে যে তাপমাত্রা, তা-ও ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূলে রয়েছে। তবে বর্ষা ঘূর্ণিঝড়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু পৌঁছেছে, যার প্রভাবে দেশে বর্ষা হয়। তবে মৌসুমি বায়ু ঘূর্ণিঝড় তৈরির পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলেও আবহবিদেরা জানিয়েছেন।হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে ভারী বর্ষণ শুরু হতে পারে। মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিও। এই পরিস্থিতিতে আবহবিদেরা আগামী শুক্রবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছেন। সোমবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal