Breaking News

কালীঘাটে সিপিএমের প্রচারে পুলিশি বাধা, সায়রা-মীনাক্ষীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল ধস্তাধস্তি!কমিশনকে তোপ মীনাক্ষীর

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কালীঘাটে সিপিএমের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম, ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং স্থানীয় কর্মী-সমর্থকদের কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় প্রচার করতে যান। পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি থাকার যুক্তি দেখিয়ে তাদের প্রচারে বাধা দেয়। পুলিশের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া কালীঘাটের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, তাই সেখানে রাজনৈতিক জমায়েত সম্ভব নয়।আগামী ১ জুন দক্ষিণ কলকাতায় সপ্তম দফার ভোট। তার আগে শেষ রবিবাসরীয় প্রচার সেরে নিতে এদিন সকালেই ময়দানে নেমেছিলেন দক্ষিণ কলকাতার সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। কালীঘাটে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে যান প্রার্থী সহ বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং সিপিএমের বহু কর্মী সমর্থকেরা। এই হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটেই বাড়ি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানেই রাস্তাতে ব্যারিকেড করে দেয় পুলিশ। সাফ জানানো হয়, এই এলাকায় ১৪৪ ধারা দেওয়া হয়েছে, তাই প্রচার সম্ভব নয়। এরপরই বাম সমর্থকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় পুলিশের। খানিকক্ষণের মধ্যে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। বাদানুবাদ গড়ায় ধস্তাধস্তি পর্যন্ত। মীনাক্ষীর দাবি, প্রার্থী-সহ তিন জন হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে প্যামফ্লেট বিলি করতে যাবেন বলায় পুলিশ আটকে দেয়। এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় কেন প্রচার করা যাবে না, প্রশ্ন তোলেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সায়রা বলেন, “আমার হাতে কিছুই নেই। তাও আটকানো হচ্ছে। তাও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না আমাকে।” শুরুতে পুস্তিকা বিলিতেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন সিপিএম-এর নেতা-নেত্রীরা।রবিবার ধুন্ধুমার চলাকালীনই পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন মীনাক্ষী। পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এঁরা আপনাদের বাঁচাবেন না, দেখে নেবেন। কাল যদি বিপদে পড়েন, মিলিয়ে নেবেন। আপনাদের বাঁচাবে না কেউ। বাড়িতে উর্দি পরার সময় মেরুদণ্ডটাও লাগিয়ে নেবেন। নইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন বলেছিলেন লিউকোপ্লাস্ট লাগাতে, আমাদের বলবেন, আমরা বাঁশ-দড়ি বাঁধতে জানি। বেঁধে দেব।” এদিন নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মীনাক্ষী |

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *