Breaking News

এখনও ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে ‘রেমাল’! ঝড় এর তাণ্ডবে মিজোরামের পাথর খনিতে ধস,মৃত অন্তত ১০

প্রসেনজিৎ ধর :- ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর তাণ্ডব শুধু যে বাংলার ক্ষতি করেছে তা নয়, উত্তর-পূর্বের রাজ্য মিজোরামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভয়ঙ্কর ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে মিজোরামে। তার জেরে এক পাথর খনিতে ধস নেমেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বহু শ্রমিক ধসের নিচে চাপা পড়েন আছেন বলে আশঙ্কা। শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল এখন নিম্নচাপে পরিণত। তবে নিম্নচাপ হওয়ার পরেও রেমালের জেরে দুর্যোগ চলছে। রেমালের জেরে ব্যাপক বৃষ্টি মিজোরামের আইজল সহ অন্যত্র। যার জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোর ৬টা নাগাদ আইজল জেলার দক্ষিণ প্রান্ত থেকে কিছুটা দূরে মেলথাম এবং লিমেনের মাঝে পাথরের খনিতে ধস নেমেছে। এখনও পর্যন্ত কয়েকজনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে আরও একাধিক শ্রমিক চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এও অনুমান যে মৃতের সংখ্যাও বাড়বে। জানা গেছে, যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৭ জন রাজ্যেরই বাসিন্দা, বাকি তিনজন ভিন রাজ্যের। ১০ পাথর শ্রমিকের মৃত্যুর পাশাপাশি, ধসে আটকেও পড়েছেন বহু জন। ধস নেমেছে হানথারে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কেও। যার ফলে সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আইজল। একইসঙ্গে আরও বেশ কিছু হাইওয়ে ও জনসংযোগ রক্ষাকারী মূল সড়কেও ধস নেমেছে। সব মিলিয়ে রেমালের করাল গ্রাসে এখন বিপর্যস্ত জনজীবন। মিজো প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ধসে আটকে পড়া দুর্গতদের উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। যাঁরা ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েছেন, তাঁদেরকে উদ্ধারের জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চলছে। তবে ভারী বৃষ্টিতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ওদিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল। এমনকি দুর্যোগের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের পর্যন্ত দফতরে না এসে বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *