প্রসেনজিৎ ধর :-বুধবার সভা করলেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কাকদ্বীপে। বাংলায় ‘আরও বড় জয়ের’ টার্গেট ফিক্সড করে তৃণমূলকে একাধিক ইস্যুতে বিঁধলেন মোদী। আর এদিনের সভা থেকে স্পষ্ট করলেন ‘মেরুকরণ’। বললেন, “তৃণমূল তুষ্টিকরণের জন্য দেশের সংবিধানেও হামলা করছে।” বুধবার মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কাকদ্বীপে মোদীর সভায় মথুরাপুরের পাশাপাশি জয়নগর এবং ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থীও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের দেখিয়ে মোদী বলেন, “আজ সারা বিশ্বে ভারতের পতাকা উড়ছে। এটা সম্ভব হয়েছে, আপনাদের এক একটা ভোট আমাদের শক্তিশালী করেছে বলেই। শেষ দফাতেও বাংলার প্রতিটি আসনে বিজেপি প্রার্থীদের জয় সুনিশ্চিত করতে হবে।” দুর্নীতি ইস্যু তো বটেই,ওবিসি শংসাপত্র থেকে শুরু করে সাধু সন্তদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন মোদী।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ” তৃণমূলের একটাই এজেন্ডা। ওদের সব কিছুতে কাটমানি চাই। তৃণমূল বাংলার পরিচয় নষ্ট করতে চাইছি। সাধু সন্ন্যাসীদেরও ছাড়ছে না। তৃণমূল ইস্কন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মতো সংস্থাকেও গালি দিচ্ছে। তৃণমূলের গুন্ডারা মঠে হামলা করছে। রামমন্দির আমাদের আস্থার কেন্দ্র। তৃণমূলের লোক রামমন্দিরকে অপবিত্র বলে। এইরকম তৃণমূল বাংলার সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারবে না।”মথুরাপুরের সভা মোদী হুঁশিয়ারি দিলেন, ‘৪ জুনের পর তৃণমূলের হাওয়া বেরিয়ে যাবে।’ ৪ জুনের পর আগামী ৬ মাসে দেশে ‘রাজনৈতিক ভূমিকম্প’ আসতে চলেছে বলেও মোদী পূর্বাভাস দেন। মথুরাপুরের সভা থেকে তিনি বললেন, ” তৃণমূল তুষ্টিকরণের জন্য দেশের সংবিধানেও হামলা করছে। আমাদের সংবিধানে দলিত, পিছিয়ে থাকাদের জন্য সংরক্ষণ দিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের আমলে সেই সংরক্ষণেও লুঠ হচ্ছে। মুসলমানদের ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। অনগ্রসর শ্রেণির মানুষদের অধিকার ছিনিয়ে মুসলিমদের ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্ট এই শংসাপত্র বাতিল করে দিয়েছে। তৃণমূল এই নির্দেশ অমান্য করতে পারে না। মুসলমান মিথ্যা বলছে। ভুল রটাচ্ছে। একবার ভাবুন তুষ্টিকরণের জন্য এরা কোন সীমায় পৌঁছাতে পারে?”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal