দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-তিন দিন পরেই ভোটগ্রহণ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সব কেন্দ্রে। জয়নগর, যাদবপুর, মথুরাপুর এবং ডায়মন্ড হারবারে আগামী ১ জুন ভোট। তার মধ্যেই ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক তথা ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লাকে তলব করল সিবিআই। কয়লা পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়েছে। তবে সিবিআই সূত্রের খবর, এখনই হাজিরা দিতে যাচ্ছেন না শওকত। তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে সময় চেয়েছেন।কেন্দ্রীয় সংস্থা আগেও শওকতকে তলব করেছে। হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, কয়লা-কাণ্ডে যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাঁদের দেওয়া তথ্য সূত্র থেকেই শওকতের নাম উঠে এসেছে। তবে এবার ক্যানিং পূর্বের বিধায়কের ঘাড়ে গুরুদায়িত্ব। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অধীন ও লাগোয়া লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে তৃণমূলের ভরসা এখন শওকতই | সব কেন্দ্রে প্রার্থীদের নিয়ে প্রচার করছেন শওকতই। তাই নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাই এদিন হাজিরা এড়িয়ে গেলেন। অভিযোগ, আসানসোলের কয়লা খনি থেকে অবৈধ ভাবে তোলা কয়লা নাকি পাঠানো হত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন ইট ভাটায়। তার সঙ্গে শওকতের কোনও যোগ ছিল কি না, সেটাই খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা।এই প্রসঙ্গে শওকত মোল্লা অবশ্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দাবি করেছেন। তৃণমূল নেতা বলেন, ‘এটা বিরোধী রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মূলক আচরণ।’ এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শওকত একজন দক্ষ সংগঠক। এই দফার প্রতিটি আসন তৃণমূল দখল করবে এবং শওকত মোল্লা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। আর সেই কারণেই তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও বিজেপি নেতাদের স্পষ্ট দাবি, ইডি, সিবিআই-এর মতো সংস্থাগুলি আইনি পদ্ধতিতে তদন্ত করে। আইন আইনের পথে চলবে। এখানে এই সমস্ত দাবি ভিত্তিহীন।