প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- গতবছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। অভিযোগ উঠেছিল, র্যাগিংয়ের জেরে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর সাত দিনের মধ্যে ছাত্রদের হস্টেল ছাড়তে হবে। গবেষণার কাজ শেষ হলে এক মাসের মধ্যে হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, পড়াশোনা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও হস্টেল দখল করে থেকে যাওয়া পড়ুয়াদের থাকার ঘটনা শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, রাজ্যের আরও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ধরনের অভিযোগ উঠে আসে। তার মধ্যে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। গত বছর যখন যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল সেই সময়ই বারবার অভিযুক্ত হিসাবে নাম উঠে আসে সিনিয়র পড়ুয়াদের। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসাবে ভাস্কর গুপ্ত পদে আসার পরই কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত পাশ করা হয়। প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুতে বারবার অভিযোগ উঠেছিল ‘সিনিয়র দাদাদের’ বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের। সেই ঘটনার পর দোষীদের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি, র্যাগিং প্রতিরোধে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো কোনও পড়ুয়াকে পুরস্কৃত করার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এই পুরস্কারটি র্যাগিংয়ে নিহত ছাত্রের নামে দেওয়া হবে।যদিও মৃত ছাত্রের পরিবার এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নয়। তাদের মতে, পুরস্কার চালুর বদলে আরও কার্যকর কিছু করা যেত। পরিবারের একজন সদস্য জানান, ‘আমরা চাই না এমন ঘটনা আর কোনও পরিবারের সঙ্গে ঘটুক। পুরস্কারের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারত, যাতে র্যাগিং পুরোপুরি বন্ধ হয়।’