প্রসেনজিৎ ধর :- লোকসভা ভোটের ফল দেখে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক এসেই ভোটগণনা নিয়ে আপত্তি তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, নন্দীগ্রামে গণনায় যা ঘটেছিল, সেই কারচুপিই হয়েছে তমলুকে। আর কাঁথিতে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হওয়ার পরও সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। এর তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল নেত্রী।হুমকির সুরে মমতা বলেন, ‘কাঁথির আসন আমরাই জিতেছি। কিন্তু বিজেপির হয়ে কাজ করা পর্যেবক্ষকেরা শংসাপত্র আটকে রেখেছে। পর্যবেক্ষককে কাজে লাগিয়ে, এসব করে বেড়াচ্ছে বিজেপি। আমি ছেড়ে দেব না। রাজনৈতিক বদলা নেব। দরকারে পুনর্গণনা হবে।’
মঙ্গলবার বাংলায় ‘ম্যাজিক’ দেখিয়েছে তৃণমূল। ২৮ আসনে জিতেছে তৃণমূল, এর মধ্যে একাধিক আসনে জিতে গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির ঝুলিতে গেছে ১২টি আসন। শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশেই বিজেপির আসন কমেছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। যা নিয়ে খুশি তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলছেন, “ওরা দল ভেঙেছে, জনতা ওদের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে। মোদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। আমি খুব খুশি। এখন নীতীশজি ও টিডিপির পা ধরতে হচ্ছে।” মমতার আরও সংযোজন, “মোদি-শাহের অহংকার ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে।” এর পরই তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি, “দেশের জন্য খতরনক কাজ করেছেন ওরা। বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন মোদি। দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি। ওরা ইন্ডিয়াকে ভাঙতে পারবে না।”পাশাপাশি আরও একবার বকেয়া ইস্যুতে সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘বাংলার বকেয়া অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে। বকেয়া না মেটালে আন্দোলন হবে। লজ্জা থাকলে আমাদের টাকা এখনই ফেরত দেওয়া হোক।’ ভোটের আগে এবার সন্দেশখালিকাণ্ডে তপ্ত হয়েছিল বাংলা। নারী নির্যাতন ইস্যুতে সরব ছিল বিজেপি। গেরুয়া দল সন্দেশখালিরই ‘প্রতিবাদী মুখ’ রেখা পাত্রকে প্রার্থী করে বসিরহাটে। কিন্তু ভোটের ফলে তৃণমূল প্রার্থী বসিরহাট কেন্দ্র থেকে প্রায় ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। যার প্রেক্ষিতে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘সন্দেশখালির মানুষ জবাব দিয়েছেন। মা-বোনেদের স্যালুট। যে বুথে চক্রান্ত করেছিল, সে বুথেও জিতেছে। আমার কাজের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।’