নিজস্ব সংবাদদাতা :- ২৫ বছর বহরমপুর হাত ছাড়া হয়েছে অধীর চৌধুরীর। হেরেছেন প্রায় ৮০ হাজার ভোটে। এবারের সেই হারের ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে স্পষ্টতই জেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ করলেন। সাফ বললেন মমতার মেরুকরণের রাজনীতির কাছেই হারতে হয়েছে তাঁকে।এবার লোকসভা ভোটে বহরমপুরেও ফুটল ঘাসফুল | হাত শিবিরের হাতছাড়া অধীরগড় বহরমপুর। নিজ গড়েই তৃণমূলের ‘বহিরাগত’ তারকা প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছে পরাস্ত অধীর চৌধুরী। হারের জন্য অবশ্য কোনও ‘অজুহাত’ দেননি অধীর চৌধুরী। হারের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে অধীর বলেন, ‘হেরেছি মানে হেরেছি। আমি কোনও অজুহাত দেব না। ইউসুফ পাঠান এই মুহূর্তে বহরমপুরের সাংসদ। আগামিদিনে তাঁর চলার পথ সুগম হোক। শুভেচ্ছা রইল।’ পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, ‘যদি রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে দেখবেন পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন ক্রমশ একটা সাম্প্রদায়িক বিভাজনের পথে এগিয়ে চলেছে। উদার ধর্মনিরপক্ষ শক্তির জন্য পশ্চিমবঙ্গ ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।’ মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অধীরের একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই জেলার বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদকে। বললেন, “আমি হারতে পারি। কিন্তু আমার রাজনীতি আমার ভাবনা আদর্শ হারিয়ে যাবে না। মুর্শিদাবাদে বড় হয়েছি। হিন্দু মুসলমান সকলকে শ্রদ্ধা করে জীবনে বড় হতে শিখেছি, রাজনীতি করেছি। এ জিনিস মুর্শিদাবাদে ছিল না যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমদানি করলেন।”তবে এদিন একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বোমা ফাটালেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী ।