Breaking News

মন্ত্রী হয়েই কাজের সূচনা, দিলীপকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলেন সুকান্ত মজুমদার!পোস্ট করলেন সেই ছবি

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- নির্বাচনের ফলের পর রাজ্য বিজেপির অন্দরের কোন্দল যখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ছবি পোস্ট করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। দিলীপ ঘোষের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে গেলেন সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার তৃতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সুকান্ত। দিল্লিতে নিজের দফতরে যাওয়ার আগে সুকান্ত সোজা চলে যান দিল্লিতে দিলীপের বাসভবনে। বিজেপির নানা বৈঠকের জন্য এখন দিল্লিতেই রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ। সুকান্ত তাঁর বাড়িতে গিয়ে দিলীপের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে তাঁর নতুন সফর শুরুর আগে।মঙ্গলবার দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ২টি ছবি পোস্ট করেছেন সুকান্তবাবু। তার ১টিতে দিলীপ ঘোষকে প্রণাম করতে দেখা যাচ্ছে সুকান্তবাবুকে। অন্যটিতে দিলীপবাবুর পাশে দাঁড়িয়ে সদ্য হওয়া কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। পিছনে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ভারতমাতা ও দীনদয়াল উপাধ্যায়ের ছবি। ছবি পোস্ট করে সুকান্তবাবু লিখেছেন, মোদী ৩.০ সরকারের শিক্ষামন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে বরিষ্ঠ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের আশীর্বাদ চাইলাম। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাবনা বাস্তবায়নে সুযোগ পাওয়ায় আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও কৃতজ্ঞ।এদিন দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে সুকান্ত বলেন, ‘‘উনি একজন প্রবীণ নেতা। ওঁর কাছ থেকে রাজনীতিতে অনেক কিছু শিখেছি। মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব নিতে যাওয়ার আগে আমার মনে হল ওঁর পা ছুঁয়ে একটা প্রণাম করা দরকার। তাই এসেছি।’’ প্রসঙ্গত, সুকান্ত প্রথম থেকে দিলীপেরই ‘পছন্দ’ ছিলেন। দিলীপের পরামর্শেই সুকান্তকে রাজ্য সভাপতি করা হয়েছিল।২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও সুকান্তকে বালুরঘাটের প্রার্থী করেছিলেন দিলীপই। সঙ্ঘ পরিবারের ছেলে, শিক্ষিত ইত্যাদি দেখে সুকান্তের প্রার্থীপদের সুপারিশ করেছিলেন তৎকালীন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ। এমনকি, ২০২১ সালে যখন দিলীপকে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা প্রশ্ন করেছিলেন, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি হিসাবে দিলীপ কাকে দেখতে চান, তখনও সুকান্তেরই নাম বলেছিলেন দিলীপ। অর্থাৎ সুকান্তের রাজনৈতিক জীবনের যে প্রথম দু’টি সাফল্য, তার নেপথ্যে রয়েছেন দিলীপই। আবার সুকান্তও বঙ্গ বিজেপির সভাপতি হওয়ার পরে দিলীপকে পাশে নিয়ে প্রথম সাংবাদিক বৈঠকটি করেছিলেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *