দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- পার্ক স্ট্রিটের বহুতলে বিধ্বংসী আগুন মঙ্গলবার সকালে৷ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ২৪ নম্বর পার্ক স্ট্রিটের একটি বহুতলে আগুন লাগে৷ তাতেই হঠাৎ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ সেই বিশাল আগুনের ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা৷ কালো ধোঁয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত৷ ঘটনাস্থলে প্রাথমিক ভাবে ছ’টি দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছে যায়৷ আসতে থাকে আরও ইঞ্জিন৷ উল্লেখ্য, অ্যালান পার্কের পাশের একটি ক্যাফের উপরের তলায় আগুন লাগে বলে খবর৷এই এলাকাটি মূলত অফিস পাড়া হিসাবে পরিচিত। আশপাশে অনেক বহুতল রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন অফিস রয়েছে। আগুন লাগার খবর পৌঁছতেই আতঙ্কিত অফিস কর্মীরা রীতিমতো রাস্তায় চলে এসেছে। তবে যে বহুতলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে সেখানে কেউ আটকে নেই বলেই খবর।একের পর এক বের করা হয় গ্যাস সিলিন্ডার।অ্যালেন পার্কের কাছে ওই বহুতলটিতে রেস্তোরাঁ ও একাধিক অফিস রয়েছে। ওই রেস্তোরাঁটি প্রায় চার মাস বন্ধ ছিল। মাস দুয়েক আগে মালিকানা বদল হয়েছে। সেই রেস্তোরাঁতেই এদিন ঘটে অগ্নিকাণ্ড। এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বহুতলের ছাদ থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এর পরই নজরে আসে লেলিহান শিখা। খবর দেওয়া হয় দমকলে। ইঞ্জিন পৌঁছনোর আগেই দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। কালো ধোঁয়ায় মুড়ে যায় এলাকা। দমকল কর্মী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিশ আধিকারিকরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু করে কাজ। প্রথমেই ওই বহুতলে থাকা অফিসের কর্মীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদে। জল ও ফোম ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে দমকল কর্মীরা। আটকে দেওয়া হয় রাস্তা। বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল।দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, “একটা ঘটনা ঘটেছে। খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন সেখানে পাঠিয়েছি। সিনিয়র অফিসাররা রয়েছেন। আমি নিজেও যাচ্ছি। আমার মনে হয় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।” ডিসি সাউথ প্রিয়ব্রত রায় বলেন, “এখানে গুরুতর আঘাত কারোর নেই। দমকল খুব সুন্দর কাজ করেছে। ভিতরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার পুলিশের একজন এএসআই খুব সাহসিকতার সঙ্গে বের করে এনেছেন। যার ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়া রোখা সম্ভব হয়েছে।” আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে |