দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- হারের পর থেকে লাগাতার কথার ফুলঝুরি ছোটাচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ। যদিও দিলীপ ঘোষ এখন থেকে আর প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।দিল্লি থেকে ফিরে ‘কিছু বলব না’ বলেও ফের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দিলীপ ঘোষের | দিল্লি থেকে ফেরার পরই দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘কোনও বাইট দেব না। যা বলার এবার থেকে পাবলিককে বলব।’ আর তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই এবার নতুন করে জল্পনা উসকে উঠেছে। ‘যা বলার এবার থেকে পাবলিককে বলব’ এর মধ্যে দিয়ে কীসের ইঙ্গিত দিলেন দিলীপ ঘোষ? তা নিয়েই এবার নতুন জল্পনা। যদিও প্রশ্নের উত্তরে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দিলীপ ঘোষ। খোলসা করেননি কিছু-ই।আবার কি রাজ্য সভাপতি হবেন দিলীপ? তাঁকে কি বিরোধী দলনেতার পদ দেওয়া হতে পারে? এমন সব প্রশ্নও রাজ্য–রাজনীতিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। মেদিনীপুরের বদলে এবার লোকসভা ভোটে বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে হেরে যান দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষকে হারিয়ে জয়ী হন তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী কীর্তি আজাদ। লোকসভা নির্বাচনে হারের পরই নিজের দলের একাংশকে দুষে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি তোপ দাগেন, ‘লোকে হারা আসন জেতার জন্য প্ল্যানিং করে। এখন জেতা আসন হারাবার জন্য প্ল্যানিং হয়েছে।’ লোকসভা নির্বাচনে হেরে গিয়ে নয়াদিল্লির সাংসদ বাংলো ছাড়তে হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। এখন কলকাতায় ফিরে এসেছেন দিলীপ ঘোষ।মোদি ৩.০ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ বিজেপির ঘোষিত নীতি। স্বাভাবিকভাবেই সদ্য কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হওয়া সুকান্তকে যে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে সেটা পরিষ্কার। বিজেপির অন্দরে জল্পনা দলের রাজ্য সভাপতি পদে প্রত্যাবর্তন হতে পারে দিলীপের।