প্রসেনজিৎ ধর,কলকাতা :- লোকসভা ভোটের পর খাস কলকাতায় শাসকদলের একাধিক কাউন্সিলরের পরস্পর বিরোধিতা দেখা যাচ্ছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কোথাও কোথাও বোমাবাজি পর্যন্ত হয়েছে। সূত্রের খবর, এসব অঙ্কুরেই বিনাশ করতে গত পরশু রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে ডেকে পাঠান তৃণমূলনেত্রী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এ সব আর তিনি মেনে নেবেন না। এক্ষুণি শোকজ করতে হবে। তিনি দুই কাউন্সিলরের উদ্দেশে শোকজের চিঠি ইস্যু করেছেন। বক্সী নিজে তাঁদের ডেকে তা হাতে তুলে দেন। বিদ্যুৎ মন্ত্রী তথা দক্ষিণ শহরতলির অন্যতম নেতা অরূপ বিশ্বাসকে ওই চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে খবর। কারণ, যে দুই কাউন্সিলরের মধ্যে বিবাদ তাঁরা অরূপের এলাকার নেতা। এঁদের মধ্যে একজন হলেন ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডল। তিন দিন আগে স্বরাজ মণ্ডলকে মেরে কান ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। গত মঙ্গলবার পাটুলি এলাকার ওই ওয়ার্ডে পার্টি অফিসে বসতে যাওয়া নিয়ে ঝগড়ার শুরু। স্বরাজ সেখানে বসতে গেলে দলের কিছু কর্মী আপত্তি জানান। তাঁরা বলেন, ওই পার্টি অফিসের চেয়ারে স্বরাজকে বসতে দেওয়া হবে না। এ নিয়ে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তার পর তুমুল হাতাহাতি। ঘুষি মেরে স্বরাজের কান ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্বরাজের লোকজনের অভিযোগ এর নেপথ্যে রয়েছেন ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারকেশ্বর চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে, এই শোকজের খবরের পর বিজয়গড়ের সমাজগড়ে ডেকে পাঠানো হয় তারকেশ্বর চক্রবর্তী এবং স্বরাজ মণ্ডলকে। টালিগঞ্জ ও যাদবপুরের পরির্দশক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ডেকে পাঠান তাঁদের। এর আগে দুপুরে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজের ঘরে ডাকেন স্বরাজ মণ্ডলকে। গোটা ঘটনা জেনে দ্রুত এই দ্বন্দ্ব মেটানো নির্দেশ দেন। যদিও ফিরহাদ হাকিম তারকেশ্বর চক্রবর্তীকে ডেকে পাঠালেও তিনি সেখানে হাজির হননি।সূত্রের মতে, দুই কাউন্সিরলকে শোকজ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বস্তুত সবাইকে হুঁশিয়ার করতে চেয়েছেন।