Breaking News

হকারদের ১ মাসের ‘ডেডলাইন’ মমতার!উচ্ছেদ নয়, বিকল্প ভাবনা, হকারদের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিক নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সোমবার নবান্ন সভাঘরেই বিভিন্ন পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তারপর থেকেই কলকাতা-হাওড়া জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় জোর কদমে বেআইনি হকার উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন৷ এইসবের মাঝেই বৃহস্পতিবার হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে নবান্ন সভাঘরে ফের প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মমতা৷বৃহস্পতিবার মমতার ঘোষণা, আপাতত এক মাস বন্ধ উচ্ছেদ অভিযান। তবে যাদের ইতিমধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ঠিকানা নিয়ে সার্ভে করবে পুলিশ। তাঁরা যদি রাজ্যের লোক হয়, সত্যি যদি গরিব হয়, তাহলে তাঁদের জন্য অন্য জায়গায় ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। মমতার নির্দেশ, ফুটপাথের একদিকে হকার বসতে পারে। কোন দিকে বা কোথায় হকার বসবে, তা সার্ভে করে ঠিক করে নিতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সার্ভে করতে হবে। এই জন্য একটা কমিটিও গড়ে দিয়েছেন। যেখানে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষ এবং মলয় মজুমদার। পুলিশ থেকে কমিশনারদেরও এই কমিটিতে রাখা হবে। তাঁদের সার্ভের পাশাপাশি সমান্তরাল সার্ভে করবে হকার কমিটিগুলিও। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সার্ভে হবে মূলত হাতিবাগান, কলকাতা কর্পোরেশনের সামনে, গ্র্যান্ড হোটেল চত্বর, নিউ মার্কেট-সহ মোট পাঁচটি এলাকায় |বৃহস্পতিবারের বৈঠকে দ্বৈত ভূমিকায় দেখা গেল মমতাকে। মমতা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, ‘‘বুলডোজ়ার দিয়ে দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া এখানকার সংস্কৃতি নয়।’’
মমতা এ-ও বলেছেন, ‘‘যাঁদের ফুটপাথে একটা ডালা নিয়ে বসার কথা, তাঁরা চারটে ডালা বসিয়ে দিচ্ছেন। সমস্যা সেখানেই হচ্ছে।’’ এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলরদের দিকেই ‘তোলাবাজির’ অভিযোগ করেছেন মমতা। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘হাতিবাগানে রাস্তা বলে আর কিছু নেই। এতে স্থানীয় কাউন্সিলরদেরই দায় রয়েছে। তাঁরা টাকা নিয়ে বসিয়ে দিচ্ছেন। তার পর এখন বুলডোজ়ার গিয়ে উচ্ছেদ হচ্ছে। এটা করা যাবে না।’’কাউন্সিলরদের উদ্দেশে মমতার প্রশ্ন, ‘‘এত লোভ কিসের? ভাত, ডাল, মাছ, তরকারি খেয়ে হচ্ছে না? আরও লাগবে?’’তাঁর কথায়, ‘‘হকারদের আইনত বৈধতা দেওয়ার জন্য তিনি একটি আইডি কার্ড করার কথা বলেছিলাম। হকার নেতাদের টাকা দিলে ইচ্ছে মতো স্টল দেবে। হকার নেতারা টাকা তুলবেন না। পুলিশ ও নেতাদের বলছি।’’তারপরে মমতা বলেন, ‘‘যদি কোনও পুলিশ ইন্ধন দেয়, তাকে সরিয়ে দেব। যে ভাল কাজ করবে আমি তাকে পুরস্কার দেব। রাজ্য কিন্তু অফিসারদের সরাতে পারে। কেন্দ্র সরিয়েছে। যা ভুল করেছেন করেছেন, আর ভুল যেন না হয়।’’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *