প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সরকারি জমি দখল করে এবং জলাভূমি বুজিয়ে নির্মাণ নিয়ে গত সোমবারের প্রশাসনিক বৈঠকেই নিজের ক্ষোভ স্পষ্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশের পরেই সক্রিয় হয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বেহালার ম্যান্টনে সরকারি জমি দখল করে গড়ে ওঠা বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অস্থায়ী অফিস ভেঙে দেয় পুলিশ।বিধায়ক ও মন্ত্রী থাকাকালীন নিয়মিত সন্ধ্যায় বেহালার ম্যান্টনে ফুটপাথ দখল করে বানানো অফিসে বসতেন পার্থ। চারিদিকে কোলাপসেবল গেট দিয়ে ঘেরা ছিল পার্টি অফিসটি। ছিল শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র। চারিদিকে ব্যারিকেড দিয়ে অফিসটি ঘিরে রাখত পুলিশ। সন্ধ্যার পর থেকে সেখানে থাকত কড়া পাহারা। সেখানে বসেই স্থানীয়দের অভাব অভিযোগ শুনতেন পার্থবাবু। দলীয় কর্মীদের নানা নির্দেশ দিতেন। সই করতেন বিভিন্ন নথিতে। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতেন। স্থানীয়দের দাবি, ওই অফিসের সামনে কালো কাচে ঘেরা পার্থবাবুর গাড়িতে তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। এসি চালিয়ে গাড়ির ভিতরে বসে থাকতেন তিনি। তবে তাঁকে কোনও দিন গাড়ি থেকে নামতে দেখেননি কেউ। ম্যান্টনের অফিসে কাজ সেরে অর্পিতাকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে বেরিয়ে যেতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।পার্থবাবুর গ্রেফতারির পর পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হয়ে যায় এই অফিস। দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহে সেখানে কয়েকদিন আনাগোনা ছিল সাংবাদিকদের। তার পর ধীরে ধীরে তাও কমে যায়। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা দাবি করেন, প্রশাসন নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পার্টি অফিস সরিয়ে নিয়েছেন তাঁরাই। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ পার্টি অফিসটি ফুটপাথ থেকে সরিয়ে ফেলেন তাঁরা।