প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ভাঙড়ে যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে মারধরের ঘটনা দেখা গিয়েছে বলে খবর। অভিযোগ, একটি দোকানের সঙ্গে যুবককে বাঁধা হয়েছিল। তারপর বেশ কয়েক জন তাঁকে মারধর করেন। রবিবার সকালে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।ধৃতরা হল সাহারুল মোল্লা এবং সৈকত মণ্ডল। যে দোকানের সামনে মারধরের ঘটনাটি ঘটে, সেই দোকানের মালিক সাহারুল। ভাঙড়ে মৃত ওই যুবকের নাম আজগর মোল্লা (৪২)। চোর সন্দেহে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ বাঁধা অবস্থাতেই রাস্তায় পড়েছিলেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেছিলেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তিনি পড়ে আছেন। পরে ডেকে ডেকে সাড়া না মেলায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।ভাঙড় বাজার এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে চুরির ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল। বাজারে নৈশপ্রহরী চলে গেলেই চুরি হত। যা নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ ছিলেন। তারপর থেকে তক্কে তক্কে ছিলেন স্থানীয়রা। রবিবার ভোরে আজগর মল্লিক নামে এক ব্যক্তিকে ধরা হয়। তিনি ভাঙড় থানার ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। চোর সন্দেহে তাঁকে প্রথমে বেঁধে রাখা হয় বলে অভিযোগ। হাতের কাছে পেয়ে সন্দেহের বশে অনেকেই তাঁকে মারধর করেন। মারধরের পর দীর্ঘক্ষণ ওই ব্যক্তি সেখানে পড়ে থাকলেও পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ। ব্যক্তিকে নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকতে দেখে প্রথমে সকলেই ভেবেছিলেন, তিনি নেশাগ্রস্ত। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান।এদিকে, খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে যায়। প্রথমে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু অভিযোগ, মৃতের পরিবার পুলিশকে দেহ নিতে দেয়নি। তাঁদের তরফে অভিযোগও দায়ের করা হয়নি। যদিও পরে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে ভাঙড় বাজারের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। সেই ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে রাতে কয়েকজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সোমবার আদালতে পেশ|