দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চলে আসছে গত বছর থেকে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জট তৈরি হয়েছে। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে সেই জটের অবসান হতে চলেছে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে একটি সার্চ কমিটি গঠন করে কীভাবে উপাচার্যের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং কতদিনের মধ্যে তা শেষ করতে হবে? সেই সময়সীমাও বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রাক্তন বিচারপতি ইউ ইউ ললিতকে চেয়ারম্যান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তিন মাসের মধ্যে সরকারকে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এই নির্দেশে খুশি ব্রাত্য বসু। “গণতন্ত্রের জয় হয়েছে”, উল্লেখ করে X হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তিনি। কমিটিতে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেই চেয়ারম্যান প্রয়োজনে আরও চার বিশেষজ্ঞকে রাখতে পারেন কমিটিতে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একসঙ্গে কমিটি গঠন করা যেতে পারে। আবার আলাদা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা সার্চ কমিটিও গঠন করতে পারেন চেয়ারম্যান। কমিটি প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাছাইয়ের জন্য তিনজনের নাম বাছাই করবে। ওই তিনজনের নাম যাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সেখান থেকে ‘অর্ডার অফ প্রেফারেন্স’ বাছাই করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর সেই তালিকা যাবে রাজ্যপালের কাছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ৩ মাসের মধ্যে সরকারকে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সেই বিজ্ঞাপনে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা উল্লেখ করতে হবে। গোটা প্রক্রিয়ার খরচ বহন করবে রাজ্যই। যদি সেই নামের মধ্যে থেকে উপাচার্য নিয়োগ না করা হয় তাহলে তার কারণ এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। শিক্ষাজগতের বিভিন্ন শাখা থেকেই উপাচার্য নিয়োগ হতে পারে। উচ্চশিক্ষা বিভাগ নোডাল বিভাগ হিসেবে কাজ করবে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal