দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করত অর্ঘ্য ভট্টাচার্য (১৮)। পড়াশোনার মাঝেই মোবাইল গেম খেলার নেশা হয়ে গিয়েছিল। নেশা এতটাই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, যে তার জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়ে অর্থের। গেমের জন্য টাকা জোগাড় করতে না পেরেই দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে বলে দাবি পরিবারের। ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।অর্ঘ্য কাঁথি মডেল ইনস্টিটিউশনে দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্ঘ্য খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। কয়েক মাস আগে বাবা মায়ের কাছে মোবাইল কেনার জন্য বায়না ধরে অর্ঘ্য। একটি দামী মোবাইলও কিনে দেন বাবা। তারপরেই অর্ঘ্য অনলাইনে মোবাইলে ফ্রি- ফায়ার গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে বলে পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে। মোবাইল কিনে দেওয়ার পর তেমনি পড়াশোনায় মন দিচ্ছিল না সে। এরপর ধীরে ধীরে ‘ফ্রি গেম’ আর ‘ফ্রি’ থাকে না। টাকা দাবি করতে থাকে। অর্ঘ্য বাবা-র কাছে টাকা চাইতে শুরু করে। কিন্তু বিষয়টা বুঝতে পেরে বাবা টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন।
গত দুদিন ধরে বাড়িতে এই নিয়ে অশান্তি হচ্ছিল। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কাঁথি থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।কাঁথি পুরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অতনু গিরি ফোনে জানান,অনলাইনে মোবাইলে গেম খেলার জন্য এমনই পরিণতি। শুধু অর্ঘ্য নয় বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবরা অনলাইনে গেমে আসক্ত হয়েছে। এর পেছনে বড় চক্র রয়েছে বলেই মনে হয়।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal