নিজস্ব সংবাদদাতা :- শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু। খুনের অভিযোগ মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যদের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের শঙ্করপুর ২ নং পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। গতকাল, বুধবার রাতেই ওই গৃহবধূর মৃতদেহ শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। মৃতার নাম রুকসানা বিবি (২০)। তাঁর বাড়ি জয়নগর থানা এলাকায়। কয়েকমাস আগেই বাড়ির অমতে পালিয়ে গিয়ে শঙ্করপুরের বাসিন্দা সাহিল শেখকে বিয়ে করেন রুকসানা। বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে নানা অত্যাচারের শিকার হতেন তিনি। রুকসানা অন্তঃসত্ত্বা জেনেও পণের দাবিতে তাঁকে মারধর করত শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। সেই কারণেই চিন্তায় থাকত রুকসানার বাবা রোশন শেখ। এরই মাঝে গতকাল, বুধবার বিকেলে রুকসানার মৃত্যুর খবর পান বাপের বাড়ির সদস্যরা। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে রুকসানার বাবা দেখেন তাঁর মেয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। কেউ নেই বাড়িতে। মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, মারধর করে মেরে ফেলা হয়েছে রুকসানাকে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বহড়ু এলাকার বাসিন্দা রুকসানা বিবির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সাহিলের। তবে মাস আটেক আগে রুকসানার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হলে প্রেমিক সাহিলের হাত ধরে পালিয়ে যান তিনি। তাঁরা বিয়েও করে। পরে রুকসানার পরিবার তাঁদের বিয়ে মেনেও নেয়। অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলে দাবি পরিবারের।মৃতের পরিবারের দাবি তাঁরা প্রেম করে বিয়ে করলেও পণ ও টাকার দাবিতে শ্বশুড়বাড়ি লোক মাঝে মধ্যেই রুকসানার উপর অত্যাচার করত। এর মধ্যেই রুকসানার মৃত্যুর খবর আসে পরিবারের কাছে। খবর যায় স্থানীয় থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে। পড়ে বিশাল বাহিনী নিয়ে এসে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কী করে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস।