নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের করা মানহানির মামলার শুনানি শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার বিচারপতি অমৃতা রাওয়ের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। শুনানি শেষ হলেও এদিন রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি। এমনকী মামলার রায়দান কবে হবে তাও জানাননি তিনি।লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলেন রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে জড়ায় আরও একবার।টানাপোড়েনের মাঝেই আবার বরানগর এবং ভগবানগোলার দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে নজিরবিহীন জটিলতা তৈরি হয়। সে প্রসঙ্গে উষ্মাপ্রকাশ করতে গিয়ে রাজ্যপালের শ্লীলতাহানির প্রসঙ্গ টেনে আনেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়| সেই মামলার শুনানিতে সোমবার রাজ্যপালের আইনজীবী বলেন, ‘রাজ্যপালকে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী ২ প্রার্থী যে চিঠি দিয়েছিলেন তাতে কোথাও রাজভবনে যেতে তাদের ভয়ের কথা জানাননি। তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর ‘মহিলারা রাজভবনে যেতে ভয় পান’ বলবে মন্তব্য করলেন কেন? এই মন্তব্য অবমাননাকর। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে মন্তব্য করা হয়েছে সেটা অস্বীকার করা সম্ভব নয়।’
পালটা রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ২টি অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। তার মধ্যে ১ জন রাজভবনের কর্মী ও অন্যজন নৃত্যশিল্পী। তাছাড়া অনেক মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে এই নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। তার জেরেই মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছেন। এটা তাঁর বাকস্বাধীনতার অন্তর্গত। এতে কারও মানহানি হওয়া সম্ভব নয়।’তখন বিচারপতি জানতে চান, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে কি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের হয়েছে?’ জবাবে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এফআইআর করার এক্তিয়ার পুলিশের নেই। তবে তাঁর ওএসডি-র বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। সেই এফআইআর-এ হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছে।রাজ্যপালের আইনজীবী বলেন, বিধায়কদের শপথগ্রহণ সম্পূর্ণ একটি প্রক্রিয়াগত ব্যাপার। এর মধ্যে অন্য কোনও বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হল কেন? রাজ্যপালের মানহানির উদ্দেশেই এই মন্তব্য করা হয়েছে।এরপর বিচারপতি রাও মামলার শুনানি এদিনের মতো মুলতুবি বলে ঘোষণা করেন। তবে রায়দান কবে হবে তা জানাননি তিনি।