দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- “আমি বিরোধী দলনেতা, সংগঠনের দায়িত্ব আমার নয়।” লোকসভা নির্বাচন ও চার বিধানসভা উপ নির্বাচনে আশানুরূপ ফল হয়নি বিজেপির। তবে কি তার দায় সংগঠনের ওপরেই চাপালেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।বুধবার সায়েন্স সিটিতে বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে পর পর পরাজয়ের দায় নিজেদের কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।এদিকে শুভেন্দু অধিকারী ভরা মঞ্চে জানিয়ে দিলেন, তিনি বিজেপির সংগঠনের কোনও দায়িত্বে নেই। তিনি শুধু বিরোধী দলনেতা! যে কথার পরে অনেকে মনে করতে শুরু করেছেন, শুভেন্দু লোকসভা নির্বাচন এবং সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা উপনির্বাচনে বিপুল পরাজয়ের ‘দায়’ সুকান্ত মজুমদারের উপর চাপিয়ে দিলেন। এখানে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি বিরোধী দলনেতা, সংগঠনের দায়িত্ব আমার নয়। সামনে থেকে এখানে চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে না। চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে, তবে তার জায়গা আলাদা। আমি বিরোধী দলনেতা। আমি অর্গানাইজেশনের দায়িত্বে নেই।’ শুভেন্দুর সংগঠনের বিষয়ে এমন মন্তব্য নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে কানাঘুষো। কারণ এই মন্তব্যে পরোক্ষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দিকে দায় ঠেলার কৌশল। কারণ রাজ্য সভাপতি হিসেবে সুকান্তই সংগঠনের হর্তাকর্তা।শুভেন্দুর আরও বক্তব্য, ‘আমার সংগঠন নিয়ে যা বলার ছিল সেটা দিল্লিতে বলে এসেছি সুনীল বনসলকে। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমি জানিয়ে এসেছি কেমন করে বাংলাকে বাঁচানো যায়। আমি সংবাদমাধ্যমের সামনে এমন কোনও মন্তব্য করি না, যাতে আমাদের বুথের কর্মী, আমাদের ভোটার হতাশ হন।’নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনার জন্য বুধবার বিজেপির পক্ষ থেকে সায়েন্স সিটিতে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ–সহ বঙ্গ বিজেপির অন্যান্য তাবড় নেতারা ছিলেন। সেখানেই বিজেপির পরাজয়ের দায় কৌশলে সুকান্তর দিকে ঠেলে দেন বিরোধী দলনেতা।