দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- পশ্চিমবঙ্গের পোলট্রি ফার্ম থেকে বাজারে মুরগি আনার পথে চালকদের পুলিশের জুলুমের প্রতিবাদে রাজ্য পোলট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এই ধর্মঘটের ফলে মুরগির জোগানে টান পড়ার এবং দাম বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।এমনিতেই বাজারে আনাজপত্রের চড়া দাম নিয়ে চর্চা চলছে দিন কয়েক ধরেই। অনেকেই বলছেন, সব্জির চেয়ে মাংস খেয়ে থাকা ভাল। এবার তার উপরেও কোপ পড়তে চলেছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এর ফলে মুরগির মাংসের জোগানে টান পড়তে চলেছে রাজ্যজুড়ে। জানা গেছে, পোল্ট্রি ফার্মগুলিতে যে মুরগি উৎপাদন করা হয়, তা গাড়ি করে খোলা বাজারে নিয়ে আসেন ট্রেডাররা। রাজ্যে পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় এমন ৪,৫৫৭টি গাড়ি চলে রাজ্যজুড়ে। সংগঠনের দাবি, মাঝরাতে পোল্ট্রির গাড়ি দাঁড় করিয়ে ৫০০ টাকা করে করে আদায় করা এখন নিত্যরুটিনে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানা এলাকায় সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটে, সেখানে গাড়ির খালাসি ১০০ টাকা দিতে চাইলে, তাঁর উপর চড়াও হয় পুলিশ। সংগঠনের দাবি, ওই চালককে নিগ্রহ করা হয়। মারের চোটে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এর পরেই পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর– সর্বত্র মেল করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে দাবি সংগঠনের। তার সাত দিন পরে কোনও উত্তর না আসায়, আজ থেকে ধর্মঘটের ডাক দেন তাঁরা। বাংলায় প্রতি সপ্তাহে ২ কোটি ২০ লক্ষ কেজি পোলট্রি মুরগির চাহিদা রয়েছে। ধর্মঘট দীর্ঘদিন চললে জোগানে ঘাটতি দেখা দেবেই এবং বাড়বে দাম। এছাড়াও ডিমের জোগানেও ঘাটতি পড়তে পারে, ফলে দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ধর্মঘটের এই পরিস্থিতি আমজনতার মধ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে। উল্লেখ্য, রাজ্য পোলট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন ধর্মঘট ডাকলেও আরেকটি পোলট্রি সংগঠন এটি সমর্থন করেনি। তাঁদের দাবি, প্রশাসনের উপর ভরসা রাখা উচিত এবং পুলিশি জুলুম বন্ধে প্রশাসনকে পদক্ষেপ করতে হবে।