প্রসেনজিৎ ধর, হুগলি:-গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিলেন এক বৃদ্ধা। চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে তাঁকে উদ্ধার করলেন মাঝিরা। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার ত্রিবেণীতে । ওই বৃদ্ধার নাম আরতি ঘোষ। বয়স ৭৮ বছর। বাড়ি বলাগড় ব্লকের সোমড়া বাজার এলাকায়। বলাগড়ের সোমড়া বাজারে বাড়ি ওই বৃদ্ধার। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধার বড় ছেলে শৈলেন ঘোষ বছর দুয়েক আগে মারা গেছেন। সন্তানরা ছোট থাকার সময়েই স্ত্রী বিয়োগ হয়েছিল শৈলেনবাবুর। তাঁর মেয়ে ডালিয়াকে কোলেপিঠে করে বড় করেছেন বৃদ্ধা। শেষ বয়সে এই নাতনিকেই আঁকড়ে ধরেছিলেন তিনি। কিন্তু মাস দুয়েক আগে,পোলবার আমনান গ্রামে নিজের শ্বশুরবাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ডালিয়ার।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধার একমাত্র অবলম্বন ছিল নাতনি ডালিয়া। সেই নাতনি চলে যাওয়ায় বৃদ্ধা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তবুও নিজের কাজ নিজেই করতেন। এদিন ব্যাঙ্কে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন। একটি টোটোয় করে রওনা হন। পরে বাপের বাড়ি বেহুলা চলে যান। সেখান থেকে সেই টোটোতে ত্রিবেণী ঘাটে স্নান করবেন বলে যান। ঘাটে নেমে টোটো চালককে ফিরে যেতে বলেন। এরপর ত্রিবেণী গঙ্গার ঘাটে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর গঙ্গায় ঝাঁপ দেন ওই বৃ্দ্ধার। বিষয়টি দেখতে পেয়ে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়াররা চিৎকার করে ওঠেন। তখন ত্রিবেণী ঘাটে থাকা নৌকার মাঝিরা গঙ্গার জলের স্রোতে ভেসে যেতে থাকা বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছুক্ষণের জন্য উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ত্রিবেণী গঙ্গার ঘাট এলাকায়।পরে বলাগড় থানার অফিসার ইনচার্জ রাজকিরণ মুখোপাধ্যায় বৃদ্ধার বাড়িতে এই ঘটনার খবর দেন। সেই খবর শুনে বৃদ্ধার এক নাতি সুমন ঘোষ ঠাকুমাকে বুঝিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান।