নিজস্ব সংবাদদাতা:- পানিহাটিতে ধুন্ধুমার। রবিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে দলেরই অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এর জেরে সোমবার তৃণমূল যুব সভাপতির দফতরে পাল্টা হামলা করা চলে বলে অভিযোগ। পানিহাটির পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রেল পার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিয়েছেন একদিন আগেই। অথচ সোমবারই তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ প্রকাশ্যে। তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে পানিহাটিতে ধুন্ধুমার। মার,পাল্টা মার,যুব তৃণমূল নেতার অফিসে অবাধে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। প্রতিবাদে থানা ঘেরাওয়ের ঘটনাও ঘটল সোমবার।অভিযোগ, রবিবার রাতে তৃণমূল কর্মী রানা পালকে বেধড়ক মারধর করা হয়। রানার দাবি, রবিবার ঘোলায় বন্ধুর বাড়ি থেকে নিমন্ত্রণ খেয়ে ফিরছিলেন। একটি গাড়ি তাদের এমনভাবে চাপতে থাকে, তাঁরা পড়ে যান। রানার দাবি, সেই গাড়িতে পরিতোষ দাস ছিলেন। এই পরিতোষ বুবাই মল্লিক নামে এক যুব তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তিনিই রানাকে জোর করে গাড়িতে তুলে পানিহাটিতে নিয়ে যান, মারধর করেন বলে অভিযোগ। সোমবার সকালে থানায় বিষয়টি জানান বলে দাবি করেন রানা। এদিকে এই ঘটনাকে সামনে রেখে এলাকার যুব তৃণমূল নেতা বুবাই মল্লিকের অফিসে ভাঙচুর চালানো হয় বলে পাল্টা অভিযোগ ওঠে। তাতে আবার নাম জড়ায় রানাদের। বুবাই মল্লিক অভিযোগ করেন, তাঁদের পার্টি অফিস খুলতে বাধা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, দলের একাংশ তাঁকে কাজও করতে দিচ্ছে না।তবে রানা তা মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, ভাল ছেলেদের উপর আক্রমণ করায় সাধারণ মানুষ রেগে যান। ওখানে পার্টি অফিস নেই, একটা দোকান আছে। বুবাই মল্লিকের সেই দোকানে অসামাজিক কাজকর্ম চলত। সেটাই সাধারণ মানুষ ভেঙে দেন।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে ওঠে। সোমবার সকালে অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বুবাই মল্লিকের অফিসে ভাঙচুর চালায়। সেখানে চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করা হয়। ওই তৃণমূল নেতার অভিযোগ, দলের একাংশ জন্য তাঁর কাজে কর্মে বাধা দিচ্ছে। এমন তাঁকে অফিসও খুলতে দিচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়দহ থানা পুলিশ। তৃণমূলের একাংশের দাবি, দলে থেকে অনৈতিক কাজ করে চলেছেন ওই যুব নেতা। তাতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাই কর্মীকে মারধরের ঘটনা ঘটে।