দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বিজেপি বিধায়ক থেকে সাংসদরা বাংলাকে ভাগ করার পক্ষে জোরদার সওয়াল করছেন সংসদে এবং বাংলার মাটিতে। আর এটা যে রাজ্য সরকার মেনে নেবে না সেটা একদিন আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জানা গেল, বাংলা ভাগ নিয়ে নিন্দাপ্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল পরিষদীয় দল। আগামী সোমবার তা নিয়ে আলোচনা হবে। থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীও। মনে করা হচ্ছে, তিনিই এনিয়ে বক্তব্য পেশ করবেন, জবাব দেবেন বিজেপি বিধায়কদের।সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের ৮ জেলাকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বাংলার দুই জেলা মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ-সহ ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের কয়েকটি জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের ডাক দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলা ভাগের চক্রান্ত করার অভিযোগ তুলেছে শাসকদল। সোমবার বিধানসভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “কেউ আসুক বাংলা ভাগ করতে, দেখা যাবে কার কত দম।”
বিজেপিও বাংলা ভাগের পক্ষে নয়, স্পষ্ট করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরও বিধানসভায় এই মর্মে প্রস্তাব আনছে রাজ্যের শাসকদল।শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আনলে আনবে। আমরা তো আমাদের স্ট্যান্ড স্পষ্ট করেছি। উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা নিয়ে আমাদের কনসার্ন রয়েছে। আমরা চিন্তিত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলি থেকে হিন্দু পলায়ন নিয়ে, আমরা চিন্তিত রোহিঙ্গারা ঢুকে বাংলার ডেমোক্রেটিক জনসংখ্যা বদলে দিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭২ টি জায়গায় জমি দিচ্ছেন না, বিএসএফকে বেড়া করার জন্য। এগুলো নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু বিজেপি ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ১৯৪৭-এর জুনে এই হাউজে দিয়ে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। সেই বঙ্গ অপরিবর্তিত থাকবে।”