প্রসেনজিৎ ধর :- ভূমিধস নিয়ে কেরল সরকারকে আগেই সতর্ক করেছিল কেন্দ্র। বুধবার রাজ্যসভায় এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, কেরলে অত্যধিক বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। তার প্রভাবে যে ধস নামতে পারে, আগেই তা বোঝা গিয়েছিল। ধস নিয়ে অন্তত এক সপ্তাহ আগে সতর্ক করা হয়েছিল কেরল সরকারকে। যদিও বিপর্যয়ের সময়ে কেরলের পাশেই আছে কেন্দ্র, জানিয়েছেন শাহ|ধারাবাহিক বিধ্বংসী ধসে তছনছ হয়ে গিয়েছে কেরলের ওয়েনাড় জেলা। এখনও পর্যন্ত ১৫৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে এবং আরও ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এখনও অনেকে নিখোঁজ। এই অবস্থায় বুধবার এই বিপর্যয়ের জন্য প্রকারান্তরে কেরল সরকারকেই দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন রাজ্যসভায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান শাহ। সেই সঙ্গে, বিরোধীদের এই বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জানান। তারপরই তিনি দাবি করেন, এই ধরনের মহাবিপর্যয় যে হত পারে, প্রচুর মানুষের মৃত্যু হতে পারে, সেই বিষয়ে ২৩ জুলাই তারিখেই সতর্ক করা হয়েছিল কেরল রাজ্য সরকারকে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, ২০১৪ সালেই ২,০০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করে একটি প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা তৈরি করেছিল কেন্দ্র। সেই ব্যবস্থায় বিপদের আভাস পেতেই জানানো হয়েছিল পিনারাই বিজয়ন সরকারকে। অমিত শাহ বলেন, “আমি একটা বিষয় স্পষ্ট করতে চাই। ২৩ জুলাই, ঘটনার সাত দিন আগে কেরল সরকারকে একটি আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছিল কেন্দ্র। তারপরে ২৪ এবং ২৫ জুলাই, আমরা আবার তাদের সতর্ক করেছিলাম। ২৬ জুলাই সতর্ক করা হয়েছিল, ২০ সেন্টিমিটারের বেশি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং সেখানে ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে।”রাজ্যসভাকে শাহ জানান, বিশ্বে মাত্র চারটি দেশই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কমপক্ষে সাত দিন আগে সতর্কতা দিতে পারে। ভারত তার মধ্যে একটি। অমিত শাহ আরও জানান, বিপদের আভাস পেয়েই কেরলে আগে থেকেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর নয়টি দলকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, কেন্দ্রর পাঠানো সতর্কতা পেয়েও সময়মতো মানুষদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেয়নি কেরল সরকার। আর সেই কারণেই এত বড় বিপর্যয় ঘটেছে। অমিত শাহ দাবি করেন, এনডিআরএফ দল আসার পরই কেরল সরকার সতর্ক হয়ে গেলে, ধসে এত মৃত্যু হত না। তবে, এখন ওয়েনাড় বিপর্যয় মোকাবিলায় কেরল সরকার এবং সেখানকার জনগণের পাশে দৃঢ়ভাবে রয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার, এমনই আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।