Breaking News

টানা ১০ ঘণ্টা পর পুলিশের সাহায্যে ঘেরাও মুক্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য!মুখ খুললেন ব্রাত্য বসু

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- প্রায় ১০ ঘণ্টা পর পুলিশের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরোলেন উপাচার্য। দুপুর দু’টো থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘেরাও করে রেখেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ | রাত বারোটা পর্যন্ত পড়ুয়াদের ঘেরাওয়ে আটকে ছিলেন উপাচার্য শান্তা দত্ত | অবশেষে রাত বারোটার সময় পুলিশ এসে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছন গেট দিয়ে বের করে নিয়ে যায়। তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কথায়, শান্তা দত্তের বিরুদ্ধে তাদের এই আন্দোলন চলবে।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠক ও অস্থায়ী উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অস্থায়ী উপাচার্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকা উচিত নয় বলে জানালেন ব্রাত্য। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, ছাত্রছাত্রীরা যে কথা বলছেন তা তিনি ভুল বলে মনে করেন না। শনিবার ব্রাত্য বলেন, “ছাত্ররা কী করেছেন আমি বলতে পারব না। গণমাধ্যমে যা দেখেছি, যে প্রশ্ন তাঁরা তুলছিলেন তা ভুল নয়। যাঁরা উপাচার্যের নাম করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”শুক্রবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল দুপুর ৩.৩০ মিনিটে। কিন্তু তার আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ উপাচার্যের ঘরের বাইরে তালা আটকে দেয়। পড়ুয়াদের তরফে বলা হয়েছে এই সিন্ডিকেট বৈঠক অবৈধ। ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, প্রায় এগারো মাস অতিক্রান্ত পিএইচডি পরীক্ষার ৷ যেসকল পডুয়া তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য, তাদের পিএইচডি করার ফল প্রকাশ করা হয়নি।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠককে ‘অবৈধ’ তকমা দিয়ে শুক্রবার প্রতিবাদ করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্রছাত্রীরা। বাইরে বিক্ষোভ চললেও, ভিতরে আগেই প্রবেশ করা সদস্যদের নিয়ে সিন্ডিকেট বৈঠক করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য। বৈঠক শেষ হলেও গেটে তালা থাকায় ভিতরেই আটকা পড়েন তাঁরা। রাতেই জোড়াসাঁকো থানায় খবর দেন উপাচার্য। রাত ১২টা নাগাদ পুলিশ তালা খুলিয়ে কর্ডন করে বের করে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার-সহ সকলকে।বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য জানান, যাঁরা প্রতিবাদ করছেন তাঁরা বহিরাগত। তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলছেন। সেই বিষয়ে ব্রাত্যকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকা উচিত নয়। এখনও সরকারি নীল গাড়ি ব্যবহার করছেন। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাঁরা সরকারি স্তরের সাহায্য নিচ্ছেন, আশা করি আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *