Breaking News

মুখ্যসচিবকে ইস্তফাপত্র হোয়াটসঅ্যাপে পাঠালেন অখিল গিরি!ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে অনড়

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-কথা ছিল, কাঁথি থেকে কলকাতায় এসে সোমবার বিধানসভা ভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তাঁর ইস্তফাপত্র তুলে দেবেন অখিল গিরি। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের তরফে তাঁকে সেই ইস্তফাপত্র মুখ্যসচিবকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। অখিল সেই মতোই কাজ করেছেন। যা থেকে স্পষ্ট যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা অখিলের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎও চাইছেন না।বনবিভাগের মহিলা আধিকারিককে হুমকি দিয়ে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন অখিল গিরি৷ অস্বস্তিতে পড়ে কারামন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঠিক ছিল, সোমবারই কাঁথি থেকে কলকাতায় আসবেন অখিল৷ সশরীরে বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তাঁর ইস্তফাপত্র তুলে দেবেন৷ কিন্তু, রাজ্য প্রশাসনের তরফে তাঁকে বলা হয়, তিনি যেন মুখ্যসচিবকে হোয়াটসঅ্যাপে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। বন দফতরের এক মহিলা আধিকারিককে কুকথা বলার ঘটনায় রবিবারই তৃণমূলের তরফে অখিলকে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে বলা হয়। অখিল দলের সেই নির্দেশ মেনেও নেন। রবিবারই কাঁথিতে বসে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে অখিল জানিয়েছিলেন, তাঁর ইস্তফার বয়ান লেখা হয়ে গিয়েছে। সেটি তিনি ইমেলে পাঠিয়ে দেবেন। কাগজে লেখা ইস্তফাপত্রটি সোমবার কলকাতায় এসে জমা দেবেন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কয়েক ঘণ্টা পরেই কাঁথি থেকে কলকাতার এমএলএ হস্টেলে চলে আসেন অখিল। সোমবার সকালে পদত্যাগপত্রটি নিয়ে গাড়িতে রওনা হন সেখান থেকেই। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পরেই থমকে যায় অখিলের গাড়ি। দেখা যায় গাড়িতে বসেই পদত্যাগপত্রে সই করছেন অখিল। অখিল বলেন, ‘‘মুখ্যসচিব ফোন করেছিলেন। উনি বলেছেন পদত্যাগপত্রটি ওঁকেই হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিতে এবং হার্ডকপি পরে জমা দিতে। সেটাই করব।’’অখিল সোমবার আরও একবার জানান, তিনি মহিলা আধিকারিকের বিরুদ্ধে যে শব্দ প্রয়োগ করেছেন, তা নিয়ে তিনি অনুতপ্ত। কিন্তু যে বিষয়ে বলেছিলেন, তা নিয়ে তাঁর কোনও অনুতাপ নেই। অখিল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে পারি। কোনও আধিকারিকের কাছে চাইব না!’’তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, দল কি তাঁর সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে বলে তিনি মনে করেন? জবাবে অখিল জানিয়ে দেন, দল যা নির্দেশ দিয়েছে তা তিনি মেনে নিয়েছেন। কিন্তু দল তো তাঁকে বন দফতরের মহিলা আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাইতেও বলেছে, সেই নির্দেশ কি তিনি মানবেন? জবাবে অখিল বলেন, ‘‘আমি কারও কাছে ক্ষমা চাইব না।’’ অখিলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তবে কি তিনি দলের সংগঠনের কাজ করবেন? উত্তর আসে, ‘‘আমি তো মন্ত্রিপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি এখনও তো বিধায়ক। রামনগরের জনপ্রতিনিধি। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে সেখানকার কাজ করব।’’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *